
আমাদের দেশে ফেরান, কাতর আর্জি আমেরিকায় আটকে পড়া ভারতীয় পড়ুয়াদের
৯ থেকে ১৫ মার্চ এয়ার ইন্ডিয়ার তরফে আমেরিকা থেকে আটকে পড়া ভারতীয়দের দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। সেইজন্য প্রত্যেকের কাছে ভাড়া নেওয়া হয়েছে ১ লক্ষ টাকা। ভারতীয় দূতাবাসের তরফে জানানো হয়েছে, প্রথম পর্যায়ে শিকাগো থেকে ২৬০ জন ভারতীয় মুম্বই, চেন্নাই, হায়দরাবাদ ও দিল্লি গিয়েছেন। দ্বিতীয় পর্যায়ে নিউ ইয়র্ক থেকে উত্তরাখণ্ড, পঞ্জাব, হিমাচল প্রদেশ, সান ফ্রান্সিস্কো থেকে বেঙ্গালুরু, কোচি এবং শিকাগো থেকে দিল্লি, ভুবনেশ্বর, আহমেদাবাদ ও হায়দরাবাদে বিমান যাবে।
শুধুমাত্র হিউস্টনেই আটকে রয়েছেন ৩০ হাজার পড়ুয়া। সেখানকার বড় বড় কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশোনার সূত্রে তাঁরা গিয়েছেন সে দেশে। আটকে পড়া এক ছাত্র জানিয়েছেন, “যদি এয়ার ইন্ডিয়া বিদেশ থেকে আটকে পড়া ভারতীয়দের ফিরিয়ে নিয়ে যেতে পারে, তাহলে সরকার কেন বেসরকারি বিমান সংস্থাগুলিকে অনুমতি দিচ্ছে না। দেশে ফেরার জন্য এয়ার ইন্ডিয়ার তরফে যে টাকা চাওয়া হচ্ছে তা দেওয়ার সামর্থ্য অনেকেরই নেই। তার ফলে এমন অনেকে ফিরতে পারছেন না, যাঁদের দেশে ফেরা সত্যিই খুব দরকার।”
ওভারসিজ সিটিজেন কার্ড নিয়ে নিউ ইয়র্কে থাকা আলিয়া নামের এক ছাত্রী জানিয়েছেন, “২৬ এপ্রিল মুম্বইয়ে আমার বাবা মারা গিয়েছেন। মায়েরও বয়স হয়েছে। তাই আমার মুম্বইয়ে যাওয়া খুবই দরকার। আমি বারবার ভারতীয় দূতাবাসে আবেদন করেছি। কিন্তু সেখান থেকে কোনও উত্তর দেওয়া হয়নি।”
এই সব অভিযোগের পরে সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, ভারতীয় দূতাবাস দিন রাত কাজ করছে। বিদেশে আটকে থাকা ভারতীয়দের মধ্যে যাঁরা ক্যানসার অথবা অন্য কোনও রোগে আক্রান্ত, গর্ভবতী মহিলা, পড়ুয়াদের সবরকমের সাহায্য করা হচ্ছে। প্রতিদিন ১০ হাজার ইমেল আসছে দূতাবাসে। সেইমতো আটকে পড়া মানুষদের সাহায্য করা হচ্ছে। কিন্তু বিদেশে সবকিছু করার ক্ষমতা তাঁদের হাতে নেই। তাই হয়তো কিছু ক্ষেত্রে সমস্যা হচ্ছে।
আরও পড়ুন ভারতে প্রতি লাখে করোনা আক্রান্ত ৭ জন, আমেরিকা, ব্রিটেন, স্পেনের থেকে অনেক ভাল অবস্থায় দেশ, জানাল স্বাস্থ্যমন্ত্রক
৯ থেকে ১৫ মার্চ এয়ার ইন্ডিয়ার তরফে আমেরিকা থেকে আটকে পড়া ভারতীয়দের দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। সেইজন্য প্রত্যেকের কাছে ভাড়া নেওয়া হয়েছে ১ লক্ষ টাকা। ভারতীয় দূতাবাসের তরফে জানানো হয়েছে, প্রথম পর্যায়ে শিকাগো থেকে ২৬০ জন ভারতীয় মুম্বই, চেন্নাই, হায়দরাবাদ ও দিল্লি গিয়েছেন। দ্বিতীয় পর্যায়ে নিউ ইয়র্ক থেকে উত্তরাখণ্ড, পঞ্জাব, হিমাচল প্রদেশ, সান ফ্রান্সিস্কো থেকে বেঙ্গালুরু, কোচি এবং শিকাগো থেকে দিল্লি, ভুবনেশ্বর, আহমেদাবাদ ও হায়দরাবাদে বিমান যাবে।
সরকারের এই বক্তব্যের পরেও আমেরিকায় আটকে থাকা পড়ুয়াদের অভিযোগ, অনেকেই বাড়ি ফিরতে পারছেন না। অনেকের কাছেই এত ভাড়া দেওয়ার মতো টাকা নেই। এদিকে সে দেশে থাকাও সমস্যা হচ্ছে। কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ। অন্য দেশের হওয়ায় সুযোগ-সুবিধাও সেরকম মিলছে না। এই অবস্থায় তাঁদের ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য সরকারের কাছে বারবার আবেদন করছেন তাঁরা। কবে তাঁদের আবেদনে ভারত সরকার সাড়া দেয়, সেই অপেক্ষাতেই দিন কাটাচ্ছেন তাঁরা।