Latest News

লেহ চিনের অংশ! অবস্থান বিতর্কে টুইটারকে সতর্ক করল ভারত

দ্য ওয়াল ব্যুরো: প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর লাদাখের বেশ কিছু এলাকা নিয়েই বিবাদ ভারত ও চিনের মধ্যে। ভারতের তরফে বারবার দাবি করা হয়েছে এই এলাকা তাদের। কিন্তু সম্প্রতি লাদাখের সবথেকে বড় শহর লেহ-র অবস্থান টুইটারে দেখানো হয়েছে চিনে। আর তাতেই চটেছে ভারত। কেন্দ্রের তরফে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে টুইটার কর্তৃপক্ষকে।

কেন্দ্রের তুরফে টুইটারের সিইও জ্যাক ডরসিকে চিঠি লিখে এই কথা বলা হয়েছে। চিঠি লিখেছেন কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রভুক্তি মন্ত্রকের সচিব অজয় সাহানি। তিনি চিঠিতে স্পষ্ট বলেন, “ভারতের সংবিধান অনুযায়ী লাদাখ ও জম্মু-কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ। তাই টুইটারের মতো একটি সংস্থার মাধ্যমে এই ধরনের ভুল সংস্থার বিরুদ্ধে মানুষের মনে খারাপ প্রভাব ফেলবে। এছাড়া এই কাজের ফলে এই সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থার নিরপেক্ষতা নিয়েও মানুষের মনে সন্দেহ তৈরি হতে পারে। তাই এটা হওয়া উচিত নয়।”

চিঠিতে কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, ভারতের মানচিত্রের ভুল ব্যাখ্যা কোনও মতেই মেনে নেবে না ভারত। দেশের মানুষের মনোভাবকে সম্মান করার আবেদন করা হয়েছে টুইটার কর্তৃপক্ষের কাছে।

সম্প্রতি টুইটারে লাদাখের সবথেকে বড় শহর লেহ-র অবস্থান দেখাচ্ছিল চিনে। লেহ লাদাখের হেড কোয়ার্টারও বটে। আর সম্প্রতি চিনের সঙ্গে ভারতের সমস্যা এই লাদাখ নিয়েই। তাই এই ঘটনার পরে সরকারের তরফে স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে, এই মানচিত্রের মাধ্যমে ভারতের অখণ্ডতা ও সার্বভৌমত্বকে অপমান করা হয়েছে। এটা আইনবিরুদ্ধ। এই কারণে টুইটারকে সতর্ক করেছে কেন্দ্র।

এই মুহূর্তে চিনের সঙ্গে সীমান্তে ভারতে সম্পর্ক উত্তপ্ত। গত ১৫ জুন গালওয়ান উপত্যকায় ভারতীয় সেনার উপর চিনা সেনার আচমকা হামলার পর থেকে এই সমস্যার সূত্রপাত। ক্রমেই তা বেড়েছে চলেছে। তারপর থেকে ভারত ও চিনের মধ্যে সেনার উচ্চপর্যায় থেকে শুরু করে কূটনৈতিক স্তরে অসংখ্য বৈঠক হয়েছে। এমনকি দু’দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ও বিদেশমন্ত্রীরাও কথা বলেছেন। তাও কোনও সমাধান সূত্র বের হয়নি।

লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর সেনা মোতায়েন করেছে চিন। পিছিয়ে নেই ভারতও। লাদাখে ভারতীয় সেনাও তৎপর রয়েছে। ইতিমধ্যেই সেখানে সেনার জন্য রসদ, অত্যাধুনিক অস্ত্র ও শীতের পোশাক পৌঁছে গিয়েছে। বোঝা যাচ্ছে শীতেও লাদাখ থেকে সেনা সরাবে না ভারত। এই অবস্থায় টুইটারের এমন একটা ভুলে কেন্দ্র যে ক্ষুব্ধ হবে সেটাই স্বাভাবিক। এই বিষয়ে অবশ্য টুইটারের তরফে এখনও কোনও মন্তব্য করা হয়নি।

You might also like