
দ্য ওয়াল ব্যুরো: এক মাসের বেশি সময় ধরে দিল্লি সীমান্তে কৃষক আন্দোলন চলছে। কেন্দ্রের পাশ করা তিনটি কৃষি আইন প্রত্যাহার ও ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের আইনি স্বীকৃতির দাবি নিয়ে আন্দোলনে নেমেছে দেশের ৪০টির বেশি কৃষক সংগঠন। কিন্তু এখনও তাদের দাবি মেটেনি। আগামী ৪ জানুয়ারি ফের একবার কেন্দ্রের সঙ্গে বৈঠকে বসার কথা কৃষকদের। আর সেই বৈঠকেই এই সমস্যার সমাধান চান কৃষকরা। নইলে আরও বৃহত্তর আন্দোলনের হুমকি দিয়েছেন তাঁরা।
এই কথা জানিয়েছেন রাজনীতিবিদ যোগেন্দ্র যাদব। কৃষকদের হয়েই এই বার্তা দিয়েছেন তিনি। শুক্রবার ৪০টি কৃষক সংগঠনের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তারপরে সিঙ্ঘু সীমান্তে একটি সাংবাদিক সম্মেলনে যোগেন্দ্র বলেন, “সরকার এখনও আমাদের দুটো দাবি অর্থাৎ তিনটি কৃষি আইন প্রত্যাহার ও ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের আইনি স্বীকৃতির বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি। আমরা আন্দোলনের তীব্রতা আরও বাড়াব। যদি ৪ জানুয়ারির বৈঠকে কোনও সমাধান সূত্র না বের হয় তাহলে ৬ জানুয়ারি জিটি-কার্নাল রোডে ট্র্যাক্টর র্যালি বের করব আমরা। যদি সরকার আমাদের দাবি মেনে না নেয় তাহলে আগামী সপ্তাহে শাহজাহানপুর সীমান্ত থেকে দিল্লির দিকে যাত্রা শুরু করব আমরা।”
গত বুধবার ষষ্ঠ দফার বৈঠকের পরে কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর জানিয়েছেন, চারটির মধ্যে দুটি দাবিতে দু’পক্ষের মধ্যে একটা চুক্তি হয়েছে। যদিও সূত্রের খবর, কৃষকদের প্রধান দুটি দাবি অর্থাৎ তিনটি কৃষি আইন প্রত্যাহার ও ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের আইনি স্বীকৃতির বিষয়ে কোনও অগ্রগতি হয়নি।
শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠকে কৃষক নেতারা অভিযোগ করেন, তাঁদের দাবির মধ্যে মাত্র ৫ শতাংশ বিষয়ে এখনও পর্যন্ত আলোচনা হয়েছে। সংবাদসংস্থা পিটিআই সূত্রে খবর, এক কৃষক নেতার দাবি, “যদি ৪ জানুয়ারির বৈঠকে কোনও সিদ্ধান্ত না হয় তাহলে আমরা হরিয়ানার সব মল ও পেট্রোল পাম্প বন্ধ করে দেব। আগে থেকে দিন ঘোষণা করে সেই কাজ করব আমরা।”
ইতিমধ্যেই অবশ্য সরকারের তরফে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, কৃষকরা চাইলে একটি কমিটি গঠন করা হবে। সেখানে কৃষক সংগঠন ও সরকারের প্রতিনিধিরা থাকবেন। তাঁরাই এই সব সমস্যা নিয়ে আলোচনা করবেন। যদিও এই কমিটির বিষয়ে এখনও কৃষকদের তরফে কোনও জবাব দেওয়া হয়নি। সবার চোখ এখন ৪ তারিখের বৈঠকের দিকেই।