
আইএমএফের সমীক্ষা হল, বাংলাদেশের মাথাপিছু উৎপাদন এ বছর ৪ শতাংশ হারে বেড়ে হবে ১৮৮৮ ডলার। কিন্তু ভারতের মাথাপিছু উৎপাদন ১০.৫ শতাংশ কমার আশঙ্কা রয়েছে। তা হতে পারে ১৮৭৭ ডলার। গত চার বছরে এত কম মাথাপিছু উৎপাদন এ দেশে হয়নি। এ ভাবে বিচার করে দেখলে এশিয়ায় তৃতীয় গরিব দেশ হিসাবে চিহ্নিত হবে ভারত। নেপাল ও পাকিস্তানের পর হবে ভারতের স্থান। তুলনায় এগিয়ে থাকবে বাংলাদেশ, ভুটান, শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ।
জিডিপি ও রাজনীতি
কোভিডের পরিস্থিতিতে এমনিতে ঘরোয়া অর্থনীতির কাহিল অবস্থা। তা নিয়ে বিরোধীদের আক্রমণে শাসক দল জর্জরিত। তার উপর আইএমএফের এই সমীক্ষা বুধবার ঘি ঢেলেছে। এই তথ্য হাতিয়ার করে এদিন সকালেই টুইট করে সরকারকে বিঁধতে চেয়েছেন রাহুল গান্ধী। তাতে তিনি বলেছেন, “বাহ বিজেপির ঘৃণা ভরা সাংস্কৃতিক রাষ্ট্রবাদের পরিমণ্ডলে ভালই তো উন্নয়ন হচ্ছে দেশের”। তৃণমূল যুব সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও এ ব্যাপারে মোদী সরকারের সমালোচনা করেছেন।
সরকারের যুক্তি ও মোদী মেয়াদে জিডিপি-র বৃদ্ধি
আইএমএফের এই রিপোর্ট যে সরকারের জন্য চাপ তৈরি করেছে তা নিয়ে সংশয় নেই। ফলে এদিন পরিস্থিতি মোকাবিলায় নেমে আইএমএফের রিপোর্টের ব্যাখ্যাও দিতে চেয়েছেন সরকারের শীর্ষ নেতা ও আমলারা।
সরকারের বক্তব্য, প্রথমত আইএমএফের রিপোর্টের পছন্দ সই অংশ নিয়ে রাজনীতি করছে বিরোধীরা। ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০২১ সালে বাংলাদেশের মাথাপিছু জিডিপি ফের ছাপিয়ে যাবে ভারত। তখন বাংলাদেশের মাথাপিছু জিডিপি হবে ১৯৯০ ডলার। আর ভারতের মাথাপিছু জিডিপি হবে ২০৩০ ডলার।
সরকারের তরফে বলা হয়, ক্রয় ক্ষমতার নিরিখে (পার্চেসিং পাওয়ার প্যারিটি) যদি বিচার করা যায়, তা হলে দেখা যাবে ভারতের মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদন তথা জিডিপি ছিল বাংলাদেশের ১১ গুণ। অথচ মনে রাখতে হবে বাংলাদেশের জনসংখ্যার ৮ গুণ মানুষ ভারতে বসবাস করেন। আইএমএফ-ই এ বছর জানিয়েছিল, ক্রয় ক্ষমতার নিরিখে এ বছর ভারতের মাথাপিছু জিডিপি হতে পারে ৬২৮৪ ডলার। তুলনায় ক্রয় ক্ষমতার নিরিখে বাংলাদেশের মাথাপিছু জিডিপি হতে পারে ৫১৩৯ ডলার।
সরকারের এও বক্তব্য, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মেয়াদে ভারতে মাথাপিছু জিডিপি বেড়েছে। ২০১৪-১৫ আর্থিক বছরে তা ছিল ৮৩০৯১ টাকা। ২০১৯-২০ আর্থিক বছরে তা বেড়ে হয়েছে ১০৮৬২০ টাকা। অর্থাৎ তা ৩০.৭ শতাংশ হারে বেড়েছে। দ্বিতীয় ইউপিএ সরকারের আমলেও মাথাপিছু জিডিপি বেড়েছিল। ২০০৯-১০ আর্থিক বছরে তা ছিল ৬৫,৩৯৪ টাকা। ২০১৩-১৪ আর্থিক বছরে তা বেড়ে হয় ৭৮,৩৪৮ টাকা। অর্থাৎ ১৯.৮ শতাংশ হারে তা বেড়েছিল।
Solid achievement of 6 years of BJP’s hate-filled cultural nationalism:
Bangladesh set to overtake India.
??? pic.twitter.com/waOdsLNUVg
— Rahul Gandhi (@RahulGandhi) October 14, 2020