
এ দিন বিকেলে সাংবাদিক বৈঠক করে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার ওম প্রকাশ রাওয়াত জানান, সবার আগে ভোট হবে দক্ষিণ ছত্তীসগড়ের মাওবাদী অধ্যুষিত এলাকায়। সেখানে মোট ১৮ টি বিধানসভা কেন্দ্রে। ছত্তীসগড়ের বাকি ৭২ টি আসনে ভোট গ্রহণ হবে ২০ নভেন্বর।
এর পরই নভেম্বরের ২৮ তারিখ একই সঙ্গে ভোট হবে মধ্যপ্রদেশ ও উত্তর-পূর্বের রাজ্য মিজোরামে।
মধ্যপ্রদেশ ও ছত্তীসগড়ের মতোই ভোট বকেয়া রয়েছে রাজস্থানে। তবে এরই মধ্যে তেলঙ্গনায় সরকার ভেঙে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও। ৬ মাসের মধ্যে সেখানে ভোট করাতে হবে নির্বাচন কমিশনকে। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার এ দিন জানান, রাজস্থানের সঙ্গে একই দিনে ভোট তেলঙ্গনায়। এই দুই রাজ্যে ভোট গ্রহণ হবে ৭ ডিসেম্বর।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, পাঁচ রাজ্যের এই নির্বাচনে মূল নজর থাকবে দেশের হার্টল্যান্ডে,- অর্থাত মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান ও ছত্তীসগড়ে। এই তিন রাজ্যেই এখন ক্ষমতায় রয়েছে বিজেপি। বিশেষ করে মধ্যপ্রদেশ ও ছত্তীসগড়ে এক টানা ১৫ বছর ধরে বিজেপি-র শাসন চলছে। রাজস্থানে বর্তমান বিজেপি সরকারের মেয়াদ হয়েছে পাঁচ বছর। উনিশের ভোটের আগে কংগ্রেস তথা রাহুল গান্ধী যদি মোদী-অমিত শাহদের এখানে পর্যুদস্ত করতে পারে, তা হলে বলা যেতে পারে উনিশের ভোটের আগে এক কদম এগিয়ে যাবেন তাঁরা। কিন্তু এই তিন রাজ্যে আশানুরূপ ফল করতে না পারলে এবং বিজেপি এ বারও জয়ের ধ্বজা ওড়াতে সফল হলে লোকসভা ভোটে নরেন্দ্র মোদীকে ঠেকানো মুশকিল হবে।