
করোনার টিকা বাজারে ছাড়া যাবে কিনা সে নিয়ে আগেই আলোচনা চলছিল। কোভিড যেভাবে বাড়ছে দেশে তাতে টিকার চাহিদা বহুগুণে বেড়ে গেছে। এমন পরিস্থিতিতে অন্যান্য ওষুধের মতো করোনার প্রতিষেধকও ওষুধের দোকানে বিক্রি করার প্রস্তাব আনা হয়েছিল। সেই প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্রের ভ্যাকসিন বিশেষজ্ঞ কমিটি।
কেন্দ্রীয় ড্রাগ কন্ট্রোলের তরফে টুইট করে জানানো হয়, এতদিন কোভিশিল্ড এবং কোভ্যাক্সিন দেশজুড়ে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহার করা হত। এবার তা বাজারে বিক্রির অনুমোদন দিল বিশেষজ্ঞ কমিটি। সেই অনুমোদন ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়ার কাছে পাঠানো হয়েছে। তারাই এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।
SEC of CDSCO has recommended for upgrade of covishield and covaxin status from restricted use in emergency situations to grant of new drug permission with conditions In adult population ,DCGI will evaluate the recommendations and give its decision.
— CDSCO_INDIA_INFO (@CDSCO_INDIA_INF) January 19, 2022
দেশে প্রথম টিকা হিসেবে ছাড়পত্র পায় ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিন। তারপর সেরাম ইনস্টিটিউটের তৈরি কোভিশিল্ড ভ্যাকসিনে অনুমোদন দেওয়া হয়। কোভ্যাক্সিন দেশের তৈরি টিকা, অন্যদিকে, ব্রিটেনের অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি ও অ্যাস্ট্রজেনেকার তৈরি টিকার অনুকরণে তৈরি কোভিশিল্ড। একুশের ১৬ জানুয়ারি থেকে টিকাকরণ শুরু হওয়ার পরে এই দুই টিকাই দেওয়া হচ্ছিল জনসাধারণকে।
সেরাম ইনস্টিউটের তৈরি কোভিশিল্ড ও ভারত বায়োটেকের তৈরি দেশীয় টিকা কোভ্যাক্সিন—এই দুটিই করোনার ছোঁয়াচে প্রজাতিদের সংক্রমণ থেকে সুরক্ষা দিতে পারবে। স্বাস্থ্যমন্ত্রক আগেই বলেছিল, কোভিশিল্ড ভ্যাকসিনে সবচেয়ে বেশি অ্যান্টিবডি তৈরি হচ্ছে বলে দেখা গেছে। এই টিকার দুটি ডোজের মধ্যে ৮৪ দিনের ব্যবধান থাকলেও, প্রথম ডোজ নেওয়ার পরেই শরীরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি তৈরি হচ্ছে। আর কোভ্যাক্সিন টিকা ডেল্টা ভ্যারিয়ান্ট ছাড়াও কোভিডের ব্রিটেন স্ট্রেন, দক্ষিণ আফ্রিকার স্ট্রেন ও ব্রাজিলীয় স্ট্রেন থেকেও সুরক্ষা দিতে পারবে বলে দাবি করা হয়েছে। ওমিক্রন ভ্যারিয়ান্ট রুখতেও এই দুই টিকা কার্যকরী হবে বলে দাবি করেছেন বিশেষজ্ঞরা।