
দ্য ওয়াল ব্যুরো: দেশের তৈরি ভ্যাকসিনেই কি তবে আশা জাগছে?
পুণের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজি (এনআইভি) ও ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চের (আইসিএমআর)যৌথ গবেষণায় দাবি করা হয়েছে, করোনার অতি সংক্রামক প্রজাতির মোকাবিলা আগেও করেছে ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিন। খুব কম জনের শরীরে হলেও ছোঁয়াচে স্ট্রেন নিষ্ক্রিয় করতে পেরেছে দেশের তৈরি এই টিকা। গবেষকদের আশা, ভাইরাসের বিপজ্জনক ডেল্টা ও বিটা স্ট্রেনও রুখতে পারবে কোভ্যাক্সিন। তবে গবেষণার পরেই পুরোপুরি নিশ্চিত হতে পারবেন বিজ্ঞানীরা।
কোভিডের ডেল্টা ভ্যারিয়ান্ট (বি.১.৬১৭.২) শুধু ভারতে নয় বিশ্বজুড়েই চিন্তার কারণ। এই প্রজাতি ইতিমধ্যেই বিশ্বের কয়েকটি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) ডেল্টা প্রজাতিকে উদ্বেগজনক বলে উল্লেখ করেছে। সেই সঙ্গেই দক্ষিণ আফ্রিকার প্রজাতি বিটা ভ্যারিয়ান্টও (বি.১.৩৫১) অতি সংক্রামক হয়ে ছড়িয়ে পড়েছে। আইসিএমআরের প্রধান ডক্টর বলরাম ভার্গব দাবি করেছেন, কোভিডের এই প্রজাতির সংক্রমণ ঠেকাতে পারে কোভ্যাক্সিন। কোভিডের ছোঁয়াচে স্ট্রেনে আক্রান্ত ২০ জন কোভ্যাক্সিনের ডোজে সেরে ওঠার পরেই এমন দাবি করা হয়েছে। ১৭ জন আবার ভ্যাকসিনের দুটি ডোজ পাওয়ার পরে ২৮ দিনের মাথায় সেরে উঠেছিলেন বলে দাবি আইসিএমআর ও পুণে এনআইভি-র।
ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিন (BBV152) করোনাভাইরাসের নিষ্ক্রিয় স্ট্রেন থেকে তৈরি। বায়োসেফটি লেভেল-৩ ল্যাবোরেটরির সুবিধা থাকায় ভারত বায়োটেকের ভাইরোলজিস্টরা সংক্রামক ভাইরাল স্ট্রেনের বিশেষ অংশ চিহ্নিত করে তাকে আলাদা করে নিয়েছেন। এরপরে সেই সংক্রামক স্ট্রেনকে বিশেষ বিজ্ঞানসম্মত উপায় পিউরিফাই করে তাকে নিষ্ক্রিয় বা ইনঅ্যাকটিভ (Inactive) করেছেন । এই ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা আরও বাড়ানোর জন্য এর সঙ্গে অ্যাডজুভ্যান্ট (ইমিউনোলজিক্যাল এজেন্ট) যোগ করা হয়েছে। এই অ্যাডজুভ্যান্টের কাজ হল টিকার ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলা। সেই কারণে কোভ্যাক্সিনের এমন গুণ আছে যা করোনার নতুন স্ট্রেনের সংক্রমণও রুখতে পারে।
আইসিএমআর আগেও দাবি করেছিল, করোনার ব্রিটেন স্ট্রেন (বি.১.১.৭), ব্রাজিলীয় স্ট্রেন (বি.১.১.২৮), দক্ষিণ আফ্রিকার (বি.১.৩৫১) স্ট্রেনের সংক্রমণ রুখতে পারে কোভ্যাক্সিন। এখন গবেষণা শেষ হওয়ার পরেই বোঝা যাবে কোভিডের অতি সংক্রামক প্রজাতিগুলিকে ঠেকাতে কতটা কার্যকরী কোভ্যাক্সিন।