
খরা, বন্যা এবং ঘূর্ণিঝড়! এই ত্র্যহস্পর্শেই জলবায়ু বদলজনিত বিপদের আশঙ্কায় রয়েছে ভারত। “ক্লাইমেট ডায়ানামিক্স স্প্রিনগার” জার্নালে আবহবিজ্ঞানীরা বলছেন, ২০১৮ সালে ভারতের অনেক জায়গাই প্রবল তাপপ্রবাহের কবলে পড়েছিল। অতিবৃষ্টিতে বিপর্যয় ঘটে কেরলে। আবার ঘূর্ণিঝড় গজ ও তিতলির দাপটে পূর্ব উপকূল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর পরেও লাগাতার একের পর এক ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়েছে দেশের উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে। কখনও অতিবৃষ্টি, কখনও অকাস বর্ষণ, সবই জলবায়ু বদলের কারণে হয়েছে। জলবায়ুগত বিপর্যয়ে মৃত্যুর দিক থেকে ভারত এক নম্বরে।
পরিবেশবিদেরা বলছেন, যে-ভাবে জলবায়ু বদলের ইঙ্গিত মিলছে, তাতে আগামী দিনে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের দাপট বাড়তে পারে। গত বছর থেকে আরব সাগর ও বঙ্গোপসাগর মিলিয়ে একাধিক ঘূর্ণিঝড় তৈরি হয়েছে। শুধু তা-ই নয়, শীতের চরিত্রেও বদল দেখা গেছে। যার পিছনে সাগরের উষ্ণায়নকেই দায়ী করছেন পরিবেশবিদেরা। এ-সব থেকেই জলবায়ু বদলের ইঙ্গিত প্রকট হচ্ছে বলেও দাবি পরিবেশ বিজ্ঞানীদের।
বিশ্ব উষ্ণায়ণে পৃথিবীর তাপমাত্রা বাড়ছে। আন্টার্কটিকায় বরফ গলতে শুরু করেছে।পশ্চিম আন্টার্কটিকায় উপকূল বরাবর দুই বিশাল হিমবাহে ভাঙন ধরেছে বলে সতর্ক করেছেন বিজ্ঞানীরা। ইতিমধ্যেই হিমবাহ ভেঙে সমুদ্রের জলস্তর বেড়েছে। বিশাল দুই হিমবাহ পুরোপুরি গলতে শুরু করলে সমুদ্রের জলস্তর ৫ শতাংশ অবধি বাড়তে পারে বলেও মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।