
কয়েক দিন আগে দিল্লির এক ডাক্তারের একটি ভিডিও তোলার পরিপ্রেক্ষিতে তাঁর বিরুদ্ধে সরকারের কড়া পদক্ষেপের পরিপ্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্ট এই নির্দেশ দেয়। দক্ষিণ দিল্লির এক সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক সেখানকার ব্যবস্থা নিয়ে একটি ভিডিও তুলেছিলেন। এই ভিডিওতে দিল্লির সরকারি হাসপাতালের অব্যবস্থা তুলে ধরা হয়। সেই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ করার জন্য ওই চিকিৎসককে সাসপেন্ড করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআরও দায়ের করা হয়। এই বিষয়েই এই নির্দেশ দেয় দেশের শীর্ষ আদালত।
এদিন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি অশোক ভূষণ, বিচারপতি সঞ্জয় কিষাণ কৌল ও বিচারপতি এম আর শাহের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, “সত্যি ঘটনা বাইরে বের করে আনার জন্য কোনও চিকিৎসককে আপনারা ভয় দেখতে পারেন না। আপনারা দূতকে কখনও গুলি করতে পারেন না। সত্যকে চাপা রাখা যায় না। চিকিৎসকদের হেনস্থা করা বন্ধ করুন। তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা বন্ধ করুন। তাঁদের কাজ তাঁদের করতে দিন। এই ধরনের ঘটনা যেন আর না ঘটে।”
এদিনের শুনানিতে সুপ্রিম কোর্ট সরাসরি কেজরিওয়াল সরকারকে প্রশ্ন করেন, “আপনারা কি সত্যি কথা বাইরে আসতে দিতে চাইছেন না। আর তাই চিকিৎসকদের বাক স্বাধীনতার অধিকার খর্ব করার চেষ্টা করা হচ্ছে। আমরা কোনও ঝুঁকি নিতে পারব না। আপনারা আক্রান্তদের চিকিৎসা ও মৃতদের শেষকৃত্যের দিকে ভাল করে নজর দিন।”
এই মামলার আগের শুনানিতেও দিল্লি সরকারকে ভর্ৎসনা করেছিলেন সুপ্রিম কোর্ট। বিচারপতিরা বলেন, “করোনা আক্রান্ত রোগীদের পশুদের থেকেও খারাপ ভাবে রাখা হচ্ছে। একজনের দেহ ময়লার মধ্যে পাওয়া গিয়েছে। মানুষ মারা যাচ্ছেন, অথচ কেউ তা জানতেও পারছেন না। এই পরিস্থিতি ভয়াবহ ও খুবই দুঃখের।” দিল্লির লোক নায়ক জয় প্রকাশ হাসপাতালকে জবাব দেওয়ারও নির্দেশ দেয় দেশের শীর্ষ আদালত। শুধু দিল্লি নয়, মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু, গুজরাত ও পশিমবঙ্গ সরকারকেও ভর্ৎসনা করে সুপ্রিম কোর্ট।
আগামী শুক্রবার ফের এই মামলার শুনানি হওয়ার কথা। আগের দিনের শুনানির পরে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল ও লেফটেন্যান্ট গভর্নর অনিল বাইজালের সঙ্গে বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। কী ভাবে রাজধানীর করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলা করা যাবে তা নিয়ে একাধিক বিষয়ে আলোচনা হয় তাঁদের। তারপরেই একাধিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র।