
বিশেষজ্ঞ বলছেন, কোভিডের নয়া প্রজাতি এলেও মিউটেশনের গতি একসময় কমে যাবে। ভাইরাল স্ট্রেনও দুর্বল হতে থাকবে। যদি মানুষের রোগ প্রতিরোধ শক্তি বেড়ে থাকে এবং হার্ড ইমিউনিটি তৈরি হয়, তাহলে নতুন করে কোভিড ওয়েভ আসার সম্ভাবনা নেই। ড. সমীরণের বক্তব্য, ঠিক যেমন করে সার্স ভাইরাসের মহামারী নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছিল তেমনভাবেই সার্স-কভ-২ শক্তিহীন হয়ে পড়বে।
করোনা তখনই হার মানবে যখন মানুষ সচেতন হবে, এমনটাই মত বিশেষজ্ঞের। তাঁর পরামর্শ, সংক্রমণের গতি কমবে এবং ভাইরাল স্ট্রেনও দুর্বল হবে, যদি ঠিকঠাক কোভিড বিধি মেনে চলা যায়। তিনটি শর্ত মানলেই করোনার তাণ্ডব কমবে। কী সেই শর্ত– কোনও রকম জমায়েত করা যাবে না, অনাবশ্যক ঘোরাঘুরি বা ভ্রমণ নয় এবং মাস্ক বাধ্যতামূলক। আগামী তিন মাস কঠোরভাবে এই নিয়ম মেনে চললেই করোনা বিদায় নেবে, এমনটাই মত বিশেষজ্ঞের।
বিশেষজ্ঞ বলছেন, দেশের বড় শহরগুলিতে করোনা সংক্রমণ ২৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। আক্রান্তদের জিনোম সিকুয়েন্স করে দেখা গেছে, বেশিরভাগই ওমিক্রন আক্রান্ত। অনেকের আবার বিদেশ ভ্রমণের ইতিহাসই নেই। কোভিড আক্রান্তদের অন্তত ৭৫ শতাংশ মেট্রো শহরগুলির, বেশিরভাগেরই সংক্রমণের উপসর্গ নেই। তাঁর মতে, ভ্যাকসিন দিয়ে সংক্রমণ পুরোপুরি ঠেকানো যাবে না। সংক্রমণজনিত জটিল রোগ রোখা যাবে শুধু। কোভিড রুখতে হলে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের গাইডলাইন মেনে চলতেই হবে। ভ্যাকসিন নেওয়ার পরেও যদি মাস্ক ও পারস্পরিক দূরত্ববিধি না মানা হয়, তাহলে পুনঃসংক্রমণের সম্ভাবনা থেকেই যাবে। কোমর্বিডিটি থাকলে রোগ বাড়বে, হাসপাতালে ভর্তির প্রয়োজনও পড়তে পারে। তাই সবদিক থেকেই সাবধান থাকতে হবে।