
ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের ফিরোজাবাদ জেলায়। শুক্রবার রাতে ডিকে গুপ্তা নামের এক বিজেপি নেতাকে গুলি করে খুন করে দুষ্কৃতীরা। একটি বাইকে করে ওই তিন দুষ্কৃতী এসেছিল বলে জানা গিয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, ডিকে গুপ্তা বিজেপির স্থানীয় মণ্ডল সভাপতি। শুক্রবার রাতে নিজের দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফেরার পথে বাজারের মধ্যেই গুলি করা হয় তাঁকে। বেশ কয়েকটি গুলি লাগে তাঁর গায়ে। গুলি চালানোর পরে বাইকে করেই পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দারা ওই নেতাকে নিয়ে হাসপাতালে যান। সেখানে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।
এই ঘটনার পরেই বিক্ষোভ দেখানো শুরু করে বিজেপি। যে হাসপাতালে ওই নেতাকে নিয়ে যাওয়া হয় সেখানে আসেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা। জড়ো হন বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। হাসপাতালের বাইরেই বিক্ষোভ দেখানো শুরু করেন তাঁরা। দোষীদের দ্রুত গ্রেফতার ও সাজার দাবি তুলতে থাকেন তাঁরা। কিছু কর্মী তো আগ্রায় পথ অবরোধও করেন। পরিস্থিতি সামলাতে নামতে হয় পুলিশকে।
পুলিশ আধিকারিক মুকেশ কুমার মিশ্র সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, “বাজারের মধ্যে কিছু অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তি ওই বিজেপি নেতার উপর হামলা চালায়। আমরা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছি। আমরা বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের শান্ত থাকতে অনুরোধ করেছি। আমরা আশা করছি আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই এই ঘটনার একটা কিনারা করতে পারব।”
শচীন্দ্রনাথ পটেল নামের আর এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, “দোকান বন্ধ করার পরে গুলি মারা হয় ওই বিজেপি নেতাকে। পরিবারের লোকেরা কিছু সন্দেহভাজনের নাম আমাদের দিয়েছেন। আমরা তদন্ত শুরু করেছি। শিগগির তাদের গ্রেফতার করা হবে।”
পুলিশের আশ্বাস পেয়ে অবশ্য বিক্ষোভ ওঠে। ময়নাতদন্তের পরে গতকাল রাতেই হাসপাতাল থেকে ওই নেতার দেহ বাড়ি নিয়ে যান তাঁর পরিজনরা। আজ তাঁর শেষকৃত্য হওয়ার কথা। এই ঘটনার পরে উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে এলাকা। বিজেপির অভিযোগ, এলাকায় প্রভাব বেড়েছিল ডিকে গুপ্তার। নিজের কাজের মাধ্যমে মানুষের খুব কাছে পৌঁছে গিয়েছিলেন তিনি। তাই সুপারি কিলার দিয়ে এই কাজ করিয়েছে দুষ্কৃতীরা। অবশ্য ব্যক্তিগত শত্রুতার দিকও উড়িয়ে দিচ্ছে না পুলিশ। এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে হামলাকারীদের চিহ্নিত করার কাজ শুরু করেছে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে প্রত্যক্ষদর্শীদেরও।