Latest News

পাঁচ রাজ্যের ভোটে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন, রাজ্যসভার ভাগ্য জড়িয়ে, চিন্তায় বিজেপি

দ্য ওয়াল ব্যুরো: এখনও পর্যন্ত ঠিক আছে, উপ রাষ্ট্রপতি বেঙ্কাইয়া নায়ডুকে এনডিএ তথা বিজেপি রাষ্ট্রপতি প্রার্থী করবে। আগামী জুলাইয়ে মেয়াদ শেষ হচ্ছে বর্তমান রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের। তাঁকে দ্বিতীয়বার মনোনয়ন দেওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।

বিজেপিতে নায়ডু অনেকটাই প্রয়াত অটল বিহারী বাজপেয়ী, কিংবা বর্তমানে দলের প্রবীণতম নেতা লালকৃষ্ণ আডবানীর মতো, মোটের উপর সব দলের সঙ্গে ভাল সম্পর্ক রেখে চলেন। বাবরি মসজিদ ধ্বংস মামলায় লখনৌয়ের সিবিআই স্পেশ্যাল কোর্ট আডবানী সহ সব অভিযুক্তকেই নির্দোষ বলেছে। ফলে রাষ্ট্রপতি ভবনের বাসিন্দা হতে আডবানীর সামনে রাজনৈতিক ও আইনি বাধা কিছু নেই। কিন্তু স্বাস্থ্যের কারণেই হয়ত তাঁর পক্ষে রাষ্ট্রপতি হওয়া হবে না। ২০১৪-তে নরেন্দ্র মোদীর দিল্লিতে আবির্ভাবে তাঁর প্রধানমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্নও বাস্তবায়িত হয়নি।

লোকসভায় বিজেপির নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকলেও রাজ্যসভায় এখনও গেরুয়া শিবির স্বস্তিতে নেই। ২৩৭ আসনের মধ্যে বিজেপির দখলে আছে ৯৭টি। তাতে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে তেমন চিন্তা না থাকলেও দলীয় সূত্রে খবর, চলতি বছরে রাজ্যসভার ৭৫টি শূন্য আসনের ভোট নিয়ে পার্টি চিন্তিত।

এরমধ্যে ভোটমুখী উত্তরপ্রদেশ ও পাঞ্জাবে আসন সংখ্যা যথাক্রমে ১১টি এবং সাতটি। মহারাষ্ট্র ও তামিলনাড়ুতে হবে ছয়টি আসনের ভোট। চারটি শূন্য আসনে ভোট নেওয়া হবে অন্ধ্রপ্রদেশে। শূন্য ৭৫ আসনের মধ্যে বিজেপির হাতে আছে মাত্র ২৬টি। সেগুলি দখলে রাখার পাশাপাশি দলকে বাকি আসনগুলির জন্যও ঝাঁপাতে হবে। স্বভাবতই উত্তরপ্রদেশ, পাঞ্জাব-সহ পাঁচ রাজ্যের আসন্ন বিধানসভা ভোট শুধু সংশ্লিষ্ট রাজ্যের নয়, জাতীয় স্তরেও দলের ভাগ্য জুড়ে আছে। রাষ্ট্রপতি নির্বাচন এবং রাজ্যসভার ভোট, দুই-ই।

এমনিতেই পাঞ্জাবে ভাল ফলের আশা নেই। সেখানে ভরাডুবি হলে কৃষক আন্দোলনের অন্যান্য রাজ্যেও বিস্তার ঘটবে বুঝতে পারছে দল। আর উত্তরপ্রদেশে শুধু জিতলেই হবে না, নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেলে মোদীর জনপ্রিয়তা নিয়ে শোরগোল শুরু হয়ে যাবে।
এই সব অঙ্ক মাথায় রেখে নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহরা আপাতত আঞ্চলিক দলগুলির সঙ্গে বিবাদ এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়েছে দলকে। যাতে নায়ডুর জন্য এনডিএ-র বাইরের দলগুলিরও সমর্থন আদায় করা যায়।

নায়ডুর বিরুদ্ধে উগ্র সাম্প্রদায়িক রাজনীতি করার অভিযোগ নেই। স্বচ্ছ ভাবমূর্তির এই দক্ষিণীর সপক্ষে দেশের নানাপ্রান্তের ছোট দলগুলির সমর্থন পাওয়ার চেষ্টা শুরু করেছে দল। এমনকী, এই তালিকা থেকে তাঁরা তৃণমূলকেও বাদ রাখছে না।

বিজেপিকে আক্রমণের প্রশ্নে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারে বারেই বাজপেয়ী-আডবানীদের প্রসঙ্গ টানেন। বলেন, ওঁদের সময় বিজেপি এত সাম্প্রদায়িক ছিল না। বেঙ্কাইয়ার মধ্যে মোদী, শাহের মতো উগ্র হিন্দুত্ব নেই বলেই রাজনৈতিক মহলের বক্তব্য। উত্তরাখণ্ডের ধর্মসংসদ থেকে কতিপয় সাধুর হিংসাত্মক ভাষণের ভিডিও দেশব্যাপী ছড়িয়ে পড়ার পরও রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী যখন চুপ করে আছেন, তখন নাম না করে বেঙ্কাইয়া ঘৃণা ছড়ানোর নিন্দা করেছেন।

পড়ুন দ্য ওয়ালের সাহিত্য পত্রিকাসুখপাঠ

You might also like