
পুলিশ জানিয়েছে, ত্রালে এক বন্ধুর বাড়িতে গিয়েছিলেন রাকেশ পণ্ডিত। বুধবার গভীর রাতে সেখানে হানা দেয় জঙ্গিরা। দরজা ভেঙে ঢুকে এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে থাকে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর। গুলিতে গুরুতর জখম হয়েছেন আসিফ মুস্তাক নামে এক মহিলা। তাঁকে উদ্ধার করে শ্রীনগরের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁর শারীরিক অবস্থা সঙ্কটজনক বলে জানা গিয়েছে।
শ্রীনগরের একটি হোটেলে ছিলেন বিজেপি নেতা রাকেশ পন্ডিত। তাঁর ওপর হামলা হতে পারে এমন আশঙ্কা আগেই করা হয়েছিল। জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ জানিয়েছে, শ্রীনগরের হোটেলে নিরাপত্তা বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষীও মোতায়েন করা হয়েছিল। কিন্তু পুলিশকে না জানিয়েই পুলওয়ামায় এক বন্ধুর বাড়িতে চলে যান রাকেশ। নিরাপত্তারক্ষীও সঙ্গে নিয়ে যাননি। এই সুযোগের অপেক্ষাই করছিল জঙ্গিরা। রাতের বেলা তারা হামলা চালায়।
হামলার ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহা। তিনি বলেছেন, “জঙ্গি হামলার খবর শুনে আমি দুঃখিত। পুলওয়ামার ত্রালে বিজেপি নেতা রাকেশ পন্ডিতের ওপর হামলার ঘটনা খুবই দুঃখজনক। তাঁর পরিবারের প্রতি সমবেদনা রইল।”
Shocked to hear that BJP leader Rakesh Pandit has been shot dead by militants. These senseless acts of violence have brought only misery to J&K. My condolences to the family & may his soul rest in peace.
— Mehbooba Mufti (@MehboobaMufti) June 2, 2021
প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা পিপলস ডেমোক্রাটিক পার্টির প্রধান মেহবুবা মুফতিও জঙ্গি হামলার তীব্র সমালোচনা করে বলেছেন, জম্মু-কাশ্মীরে এই ধরনের হিংসার ঘটনা শুধুই দুর্দশা ডেকে এনেছে। বিজেপি নেতা রাকেশ পন্ডিতের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন তিনি।
গত বছর কুলগ্রাম জেলার ওয়াইকে পোরা এলাকায় বিজেপি যুব মোর্চার তিন নেতাকে গুলি করে খুন করে জঙ্গিরা। বিজেপি নেতারা সে সময় গাড়িতে যাচ্ছিলেন। জঙ্গিরা গাড়ি লক্ষ্য করে স্বয়ংক্রিয় রাইফেল থেকে গুলি ছুড়ে তাঁদের ঝাঁঝরা করে দেয়। প্রসঙ্গত, দক্ষিণ কাশ্মীরের বিভিন্ন এলাকায় ধারাবাহিক ভাবে জঙ্গি-নিশানা হচ্ছেন বিজেপির নেতা-কর্মীরা। গত বছর অগস্টে কুলগাম জেলা বিজেপির সহ-সভাপতি সাজাদ আহমেদকে খুন করেছিল জঙ্গিরা। জুলাইয়ে গুলি করে মারা হয় বান্দিপোরা জেলা বিজেপির সভাপতি শেখ ওয়াসিম বারি এবং তাঁর ভাই ও বাবাকে।