
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বিশ্ব সন্ত্রাসবাদ নিয়ে সাম্প্রতিক রিপোর্টে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছে রাষ্ট্রপুঞ্জ। ভারতীয় উপমহাদেশে জঙ্গি তৎপরতার নিয়ে সেই রিপোর্টে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ, মায়ানমারের মতো দেশ তো বটেই আলকায়দা এবং আইসিস এজেন্ট রয়েছে ভারতেও। সেই সংখ্যাটা কম করে ১৫০-২০০ বলে রিপোর্টে উল্লেখ করেছে রাষ্ট্রপুঞ্জ। একই সঙ্গে বলা হয়েছে, ভারতে যারা এই দুই জঙ্গি সংগঠনের এজেন্ট হিসেবে কাজ করছে, তাদের অধিকাংশটাই দক্ষিণের দুই রাজ্য কর্ণাটক এবং কেরলের।
গোটা রিপোর্টটিতে এই সময়ের বিশ্ব সন্ত্রাসবাদ নিয়ে বিস্তারিত লেখা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, আইসিস ও আলকায়দা চাইছে ভারতের দক্ষিণের রাজ্যে আঘাত হানতে। সেই কারণেই ওই রিজিওনে তাদের এজেন্ট সংখ্যা বেড়েছে। তালিবানের ছাতার তলায় থাকা বহু সংগঠনকে ব্যবহার করছে আল কায়দা এবং আইসিস। রিপোর্টে উল্লেখ রয়েছে, এমন সংগঠনকে তাদের এজেন্ট হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে যার উপরের মোড়কটা অন্য। ভিতরে ভিতরে চলছে সন্ত্রাসবাদী হামলার পরিকল্পনা।
তবে এই কোভিড পরিস্থিতিতে জঙ্গি সংগঠনের এজেন্টরা ফাঁপড়ে পড়েছে বলেও রাষ্ট্রপুঞ্জের রিপোর্টে উল্লিখিত রয়েছে। মূলত টাকা এবং সাংগঠনিক দস্তাবেজ এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় পাঠানোর ক্ষেত্রে বড়সড় অসুবিধার মধ্যে পড়তে হয়েছে জঙ্গি এজেন্টদের।
রাষ্ট্রপুঞ্জের রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, ভারতীয় উপমহাদেশে বড়সড় হামলার ছক অনেক দিন ধরেই করছে আইসিস এবং আল কায়দা। কোভিড পরিস্থিতিতে বিভিন্ন জায়গায় জমায়েত বন্ধ হয়ে যাওয়ার ফলে তাদের সেই পরিকল্পনা ধাক্কা খায়। তবে এই সময়ে ভারত-সহ উপমহাদেশের একাধিক শহরে এজেন্ট সংখ্যা আরও বাড়ানোর কাজ ইসলামিক স্টেট চালিয়ে যাচ্ছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে রিপোর্টে।
গত বছরও স্বাধীনতা দিবসের দু’দিন আগে কেরলের কান্নুড় থেকে আইসিস যোগ সন্দেহে চার জনকে আটক গ্রেফতার করা হয়েছিল। রাষ্ট্রপুঞ্জের রিপোর্টে সেই কেরল, কর্ণাটকের সংখ্যা নিয়েই উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। সব মিলিয়ে কোভিড পরিস্থিতির মধ্যে রাষ্ট্রপুঞ্জের এই রিপোর্ট ভারত সরকারের চিন্তা বেশ খানিকটা বাড়াবে বলেই মনে করছেন অনেকে।