
নিজের টুইটার অ্যাকাউন্টে মুখ খোলেন অখিলেশ। বলেন, “বিকাশ প্রশ্ন করছে, আপনারা কি শুনতে পাচ্ছেন কী ধরণের অপমানজনক মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী। ১২৫ কোটি মানুষের বিশ্বাস হারানোর পর এখন ৪০ বিধায়ক ভাঙিয়ে নেওয়ার মতো নোংরা খেলায় নেমেছেন উনি। এই কথায় মোদীর মানসিকতার পরিচয় পাওয়া যাচ্ছে। মোদীকে ৭২ ঘণ্টা নয়, ৭২ বছরের জন্য ব্যান করা উচিত।”
সোমবার প্রথমে শ্রীরামপুর ও তারপর ভাটপাড়ার নির্বাচনী সভায় দাঁড়িয়ে মোদী বলেন, “দিদি, দিল্লি দূর হ্যায়।” তারপরেই বিধায়কদের প্রসঙ্গ তুলে আনেন তিনি। বলেন, তৃণমূলের ৪০ জন বিধায়ক আমার সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলছেন। লোকসভার নির্বাচন মিটে গেলেই তাঁরা তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেবেন। মোদীর কটাক্ষ, তারপরে তো বাংলাতেই ক্ষমতা ধরে রাখতে পারবেন না মমতা, তাহলে তিনি কীভাবে দিল্লি যাবেন। তারপর অবশ্য মোদী বলেন, মমতার আসল উদ্দেশ্য অবশ্য দিল্লি যাওয়া নয়, আসল উদ্দেশ্য ভাইপো অর্থাৎ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জায়গা পাকা করে দেওয়া।
মোদীর এই মন্তব্যের পরেই বিক্ষোভ শুরু হয় তৃণমূলে। তৃণমূলের তরফে অভিযোগ করা হয়, ঘোড়া কেনা-বেচার রাজনীতি করছেন মোদী। মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগও জানিয়েছে তৃণমূল। মোদীর প্রার্থীপদ খারিজ করে দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে। দিন কয়েক আগেই উস্কানিমূলক মন্তব্য করায় উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে ৭২ ঘণ্টা ও বসপা নেত্রী মায়াবতীকে ৪৮ ঘণ্টার জন্য ব্যান করেছিল কমিশন। পঞ্জাবের কংগ্রেস নেতা সিধুকেও ৭২ ঘণ্টার জন্য নিষিদ্ধ করা হয়। এখন দেখার বিরোধীদের এই লাগাতার অভিযোগের পর নির্বাচন কমিশনের তরফে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয় কিনা।
আরও পড়ুন
https://www.four.suk.1wp.in/news-state-anubrata-has-politicized-a-courtsey-meeting-comments-mukul-roy/