আহমেদাবাদের কবরস্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে ব্যবহৃত পিপিই কিট, কুকুর টেনে আনছে লোকালয়ে
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, তাঁরাও প্রশাসনের কাছে এই ব্যাপারে অভিযোগ দায়ের করেছেন। কিন্তু প্রশাসনের তরফে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এভাবে পিপিই কিট যেখানে সেখানে পড়ে থাকলে তার থেকে সংক্রমণ মারাত্মক আকার নিতে পারে বলেই আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
আহমেদাবাদ মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের নিয়ন্ত্রণাধীন এই কবরস্থান। কোভিড ১৯-এ আক্রান্ত হয়ে যাঁরা মারা যাচ্ছেন তাঁদের কবর দেওয়া হচ্ছে এখানে। কবর দেওয়ার জন্য কর্মী ও মৃতের পরিবারকে দেওয়া হচ্ছে পিপিই কিট। সেই কিট ব্যবহারের পর এভাবে ফেলে রাখা হচ্ছে বলে অভিযোগ। কিন্তু এভাবে ফেলে রাখায় দূষণের সম্ভাবনাও বাড়ছে। কারণ এই পিপিই কিট নষ্ট করার একটা নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া রয়েছে।
অলকেশ ত্রিবেদী নামের এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেছেন, “আমরা কবরস্থানের সামনেই থাকি। প্রত্যেকটা কবর দেওয়ার সময় অন্তত ১৬টা সেফটি কিট দেওয়া হয়। তারমধ্যে গ্লাভস, মাস্ক, জুতো সব থাকে। কবর দেওয়ার পর সেগুলো সেখানেই ফেলে দেওয়া হচ্ছে। সংক্রমণের ভয়ে সাফাইকর্মীরা তা তুলছেন না। কুকুর মুখে করে সেগুলো আমাদের সোসাইটিতে নিয়ে আসছে। এতে সংক্রমণের সম্ভাবনা বাড়ছে। অনেকেই ভয়ে সোসাইটি ছেড়ে অন্য জায়গায় চলে গিয়েছেন।”
কবরস্থানের কেয়ারটেকার সৈয়দ লিয়াকত আলি জানিয়েছেন, “আমি এই ব্যাপারে কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। এমনকি এই কবরস্থানের ট্রাস্টি সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডকেও জানিয়েছি। কিন্তু মিউনিসিপ্যাল কর্তৃপক্ষ থেকে পুলিশ কেউ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। মিউনিসিপ্যাল কর্মীরা তো ভয়ে কবর হাত দিয়ে নয়, বরং ক্রেন ব্যবহার করে খুঁড়ছে। তাই বাধ্য হয়ে আমিই পাইপে করে সেই পিপিই কিটগুলোকে তুলে নষ্ট করার চেষ্টা করছি।”\
আরও পড়ুন করোনার ওষুধ রেমডেসিভির বানাবে ভারত, তিন সংস্থার সঙ্গে চুক্তি মার্কিন ফার্মা জায়ান্ট গিলিয়েড সায়েন্সেসের
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, তাঁরাও প্রশাসনের কাছে এই ব্যাপারে অভিযোগ দায়ের করেছেন। কিন্তু প্রশাসনের তরফে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এভাবে পিপিই কিট যেখানে সেখানে পড়ে থাকলে তার থেকে সংক্রমণ মারাত্মক আকার নিতে পারে বলেই আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। যদিও এই ব্যাপারে আহমেদাবাদ মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের তরফে কোনও মন্তব্য করা হয়নি।