
দ্য ওয়াল ব্যুরো: সদ্য শুক্রবার দু’দলের শীর্ষ সূত্রে ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছে, লোকসভা ভোটে মহাজোট গঠন করতে চলেছেন অখিলেশ যাদব ও বহেনজি মায়াবতী। তার পর চব্বিশ ঘন্টাও কাটল না। কাকতালীয় ভাবে শনিবার সকাল থেকে উত্তরপ্রদেশে বেআইনি খনন মামলায় সমাজবাদী পার্টি ও বহুজন সমাজ পার্টির একাধিক নেতার বাড়িতে তল্লাশি শুরু করে দিল সিবিআই।
কেন্দ্রীয় এই তদন্ত এজেন্সি সূত্রে বলা হচ্ছে, জলাও, হামিরপুর, লখনউ, কানপুর, নয়ডা-সহ মোট ১৪ টি জায়গায় তল্লাশি অভিযান শুরু হয়েছে। এখনও পর্যন্ত ১১ জন অভিযুক্তের বাড়িতে ও অফিসে তল্লাশি চলছে। তার মধ্যে নেতা, উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মন্ত্রী, আমলা, খনি দফতরের কর্মীও রয়েছেন। শুধু তাই নয়, সিবিআই সূত্রে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে, এই তদন্ত ও তল্লাশি ক্রমশ পৌঁছতে পারে মুলায়ম সিংহ-পুত্র তথা উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ সিংহ যাদবের দরজায়। কারণ, ২০১২ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন অখিলেশ। সেই সময় রাজ্যের খনি দফতর ছিল অখিলেশের অধীনে।
এ দিন সকালে বহুজন সমাজ পার্টির নেতা সত্যদেব দীক্ষিতের বাড়িতে হানা দেন সিবিআইয়ের কর্তারা। সেই সঙ্গে তল্লাশি শুরু হয়ে যায় সমাজবাদী পার্টির বিধান পরিষদের সদস্য রমেশ মিশ্র ও আইএএস অফিসার বি চন্দ্রকলার বাড়িতে।
সিবিআই সূত্রে বলা হচ্ছে, অখিলেশ জমানায় এমন সময়ে খননের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল যখন সামগ্রিক ভাবে খনন কাজের উপরেই নিষেধাজ্ঞা ছিল। শুধু মাত্র কয়েক জন অফিসার, খনি দফতরের কর্মী, ও নিচু তলার নেতার যোগসাজসে এই বেআইনি কারবার হতে পারে না। হতে পারে আরও উপর থেকে তাঁদের বরাভয় বা মদত দেওয়া হয়েছিল। যে ১১ জনের বাড়িতে তল্লাশি ও জেরা চলছে, সেখান থেকে তদন্তে নতুন অভিমুখ মিলবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এ ব্যাপারে মায়াবতী বা অখিলেশ এখনও পর্যন্ত কোনও মন্তব্য করেননি। তবে তাঁদের দলের নেতারা বলতে শুরু করেছেন, প্রতিহিংসার রাজনীতি করছে মোদী সরকার। দু’দলের জোট নিয়ে যেই আলোচনা শুরু হয়েছে তখন সিবিআই জুজু দেখাতে শুরু করেছে। কিন্তু জোট হবেই।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশে দুটি লোকসভার উপ নির্বাচনে দেখা গিয়েছে সপা-বসপা একজোট হলেই বিজেপি পর্যুদস্ত হয়েছে। গত লোকসভা ভোটে শুধু উত্তরপ্রদেশ থেকে ৭১ টি আসন জিতেছিল বিজেপি। কিন্তু রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের অনেকের মতে, সপা-বসপা জোট হলে বিজেপি-র সেই শক্তি অর্ধেকও থাকবে কিনা সংশয় রয়েছে। বিরোধীদের মতে সেই কারণে সপা-বসপা জোট ভেস্তে দিতে সক্রিয় মোদী-শাহ। শনিবারের সিবিআইয়ের তল্লাশির নেপথ্যেও সেই এক কারণ রয়েছে। নইলে পাঁচ বছরের পুরনো মামলা হঠাৎ কেন ভেসে উঠল?
CBI Sources on illegal mining of minor minerals case: Adil Khan, B.Chandrakal, then mining officer Moinuddin, SP MLC Ramesh Mishra&his brother, mining clerk Ram Ashray Prajapati, Ambika Tiwari (Hamirpur), mining clerk Ram Avatar Singh & his relative and Sanjay Dikshit are accused
— ANI UP (@ANINewsUP) January 5, 2019
Lucknow: Central Bureau of Investigation (CBI) raids IAS officer B Chandrakala's residence in connection with the illegal sand mining case of Uttar Pradesh. pic.twitter.com/Co6NR84kjT
— ANI UP (@ANINewsUP) January 5, 2019