Latest News

এইমস-এ করোনা আক্রান্ত সাংবাদিকের আত্মহত্যার ঘটনায় ট্রমা সেন্টারের প্রধান বদল

দ্য ওয়াল ব্যুরো: দিল্লির অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেস বা এইমস-এর পাঁচতলা থেকে ঝাঁপ মেরে এক করোনা আক্রান্ত সাংবাদিকের আত্মহত্যার পরে ট্রমা কেয়ার সেন্টারের প্রধানকে বদল করা হল। সোমবার আত্মহত্যা করেন ওই সাংবাদিক। তারপরেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডক্টর হর্ষ বর্ধন। এই ঘটনার তদন্তের জন্য একটি বিশেষজ্ঞ কমিটিও গঠন করা হয়েছে। এইমস-এর প্রশাসনিক ক্ষেত্রে কোনও বদল দরকার কিনা তা খতিয়ে দেখবে এই কমিটি।

শুক্রবার টুইট করে এই ঘোষণার কথা জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, “সাংবাদিক তরুণ সিসোদিয়ার আত্মহত্যার ঘটনার পরেই একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করা হয়েছে। সেই কমিটি তাদের প্রাথমিক রিপোর্ট জমা দিয়েছে। তাতে জানা গিয়েছে, সাংবাদিকের আত্মহত্যায় অন্য কারও হাত ছিল না। এমনকি হাসপাতালের কোভিড ১৯ চিকিৎসার প্রোটোকলেও কোনও খামতি ছিল না বলেই জানিয়েছেন তাঁরা।”

ডক্টর হর্ষ বর্ধন আরও বলেন, “এই ঘটনার পরে এইমস-এর ট্রমা সেন্টারের প্রধানকে বদল করা হয়েছে। ৬ জুলাই এইমস-এর পাঁচতলা থেকে করোনা আক্রান্ত সংবাদিক তরুণ সিসোদিয়া ঝাঁপ মেরে আত্মহত্যা করেন।”

পুলিশ জানিয়েছে, এক নামকরা হিন্দি সংবাদপত্রে কাজ করতেন তরুণ সিসোদিয়া। সোমবার ঝাঁপ মারার পরে সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে আইসিইউতে নিয়ে যাওয়া হয়। ট্রমা সেন্টারের চিকিৎসকরা ওই সাংবাদিককে বাঁচানোর সব রকমের চেষ্টা করেন। কিন্তু তাঁকে বাঁচানো যায়নি।

হাসপাতালের তরফে একটি বিবৃতি জারি করে বলা হয়, করোনা আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ জুন এইমস-এ ভর্তি হয়েছিলেন তরুণ সিসোদিয়া। ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছিলেন তিনি। সোমবার জারি করা এই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “ওই সাংবাদিকের পরিবারকে তাঁর অবস্থার বিষয়ে প্রতিদিন জানানো হচ্ছিল। আজ দুপুর ১টা ৫৫ মিনিট নাগাদ টিসি ১ (যেখানে ওই সাংবাদিক ভর্তি ছিলেন) থেকে তিনি দৌড়ে বেরিয়ে যান। হাসপাতালের কর্মীরা তাঁর পিছনে দৌড়ে তাঁকে থামানোর চেষ্টা করেন। ছুটতে ছুটতে পাঁচতলায় চলে যান ওই সাংবাদিক। সেখানে একটি জানলার কাঁচ ভেঙে নীচে লাফিয়ে পড়েন তিনি।”

দিল্লির ভজনপুরা এলাকাতে স্ত্রী ও দুই মেয়েকে নিয়ে থাকতেন ওই সাংবাদিক। পরিবারের অভিযোগ, তাঁর কোনও মানসিক সমস্যা ছিল না। তাহলে হঠাৎ তিনি কেন ঝাঁপ মারতে গেলেন। হাসপাতালের দিকেই গাফিলতির অভিযোগ তুলেছেন তাঁরা।

এই ঘটনার পরেই উচ্চপর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী। সেই তদন্তেরই প্রাথমিক রিপোর্ট জমা পড়েছে।

এদিকে শুক্রবার সন্ধ্যায় অনুরাগ কুমার নামের এইমস-এর এক জুনিয়ার ডাক্তার হাসপাতালের ১১ তলা থেকে ঝাঁপ মেরে আত্মহত্যা করেছেন। ২৫ বছরের এই ডাক্তারের আত্মহত্যার পরে ফের আঙুল উঠেছে এইমস-এর দিকেই। এক সপ্তাহে দুটি আত্মহত্যার ঘটনা দেশের সবথেকে বড় হাসপাতালের পরিষেবা নিয়েই প্রশ্ন তুলে দিয়েছে।

You might also like