
দ্য ওয়াল ব্যুরো: লকডাউনের তৃতীয় পর্যায়ে কল-কারখানা খোলার অনুমতি দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। কিন্তু কারখানা খুলতে গিয়েই গত তিন দিনে বিশাখাপত্তনম, ছত্তীসগড় ও তামিলনাড়ুতে তিনটি দুর্ঘটনা ঘটেছে। তার মধ্যে বিশাখাপত্তনমের দুর্ঘটনা ভয়াবহ। আর তারপরেই কারখানা খোলার ব্যাপারে কিছু নির্দেশিকা জারি করেছে কেন্দ্র। জানানো হয়েছে, কারখানা খোলার পরেই প্রচুর উৎপাদনের চিন্তা না করে প্রথম সপ্তাহকে ট্রায়াল পিরিয়ড হিসেবে দেখতে হবে।
সব রাজ্যগুলিকে এই নির্দেশিকা পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। এই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, “এত দীর্ঘদিন ধরে লকডাউন চলায় বন্ধ ছিল কল-কারখানা। তাই এটা হতেই পারে কিছু কারখানায় এই লকডাউনের মধ্যে ঠিকঠাক রক্ষণাবেক্ষণ হয়নি। আর তার ফলেই কিছু কারখানায় পাইপলাইন, ভালভ প্রভৃতির মধ্যে রাসায়নিক জমে গিয়েছে, যার জেরে বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তাই এই কারখানা নতুন করে চালু করার সময় মাথায় রাখতে হবে প্রথম সপ্তাহ হল ট্রায়াল পিরিয়ড। এই সময় কারখানার সব সুরক্ষা ব্যবস্থা ভালভাবে পরীক্ষা করতে হবে। প্রথমেই প্রচুর উৎপাদন করার লক্ষ্য নেওয়ার দরকার নেই।”
এই নির্দেশিকায় আরও জানানো হয়েছে, সব রাজ্য সরকারগুলিকে বিপর্যয় মোকাবিলার জন্য একটি পরিকল্পনা তৈরি করে রাখতে হবে, যাতে এই ধরনের কোনও দুর্ঘটনা ঘটলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া যায়।
আরও পড়ুন কেরলে আজ পূর্ণ লকডাউন, বিদেশ থেকে ফেরা দু’জনের সংক্রমণ মিলতেই সিদ্ধান্ত বিজয়ন সরকারের
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের এই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, “ঝুঁকি কমাতে কারখানার কর্মীদের প্রশিক্ষণ দিতে হবে যাতে কিছু অন্যরকম হলেই তাঁরা বুঝতে পারেন। সেটা গন্ধ, কম্পন, ধোঁয়া প্রভৃতি হতে পারে। এরকম কিছু হলেই সঙ্গে সঙ্গে তাঁরা কর্তৃপক্ষকে জানাবেন, যাতে কারখানায় কাজ বন্ধ করে দেওয়া যায়। এভাবে দুর্ঘটনার ঝুঁকি অনেকটাই এড়ানো সম্ভব হবে।”
নির্দেশিকায় রাজ্যগুলিকে জানানো হয়েছে, ২৪ ঘণ্টা কারখানা জীবাণুনাশক দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে। কাজ করার সময়ও যাতে সামাজিক দূরত্ব বজায় থাকে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। দুটি শিফটের মধ্যে কিছুটা সময়ের ব্যবধান রাখতে হবে। কারখানায় যাতে কোনওভাবেই সংক্রমণ না ছড়ায় সেদিকে নজর রাখার জন্য কারখানার মালিককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রের তরফে।