
এই বিজ্ঞাপনটি বানিয়েছে পাকিস্তানে বিশ্বকাপের ব্রডকাস্টিং চ্যানেল জ্যাজ টিভি। সেখানে দেখা যাচ্ছে একজন ভারতের নীল জার্সি পরে বসে রয়েছেন। তাঁর গোঁফ দেখেই বোঝা যাচ্ছে তাঁকে অভিনন্দনের মতো করে সাজানো হয়েছে। তাঁর হাতে রয়েছে একটি চায়ের কাপ। তাঁকে প্রশ্ন করা হচ্ছে টসে জিতলে ভারত কী করবে? তিনি উত্তরে বলছেন, ‘সরি স্যার, আমার এটা বলার অধিকার নেই।’ তাঁকে ফের প্রশ্ন করা হচ্ছে, ভারতের প্লেয়িং ইলেভেন কারা হবে? তার উত্তরেও তিনি বলছেন, ‘সরি স্যার, আমার এটা বলার অধিকার নেই।’ তারপর তাঁকে চা কেমন তা জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলছেন, ‘চা খুব ভালো’। সব শেষ তিনি যাওয়ার সময় তাঁকে বলা হচ্ছে, ‘কাপ ( পড়ুন বিশ্বকাপ ) কোথায় নিয়ে যাচ্ছ? ওটা ফেরত দিয়ে যাও।’
Jazz TV advt on #CWC19 takes the Indo-Pak air duel to new level. It uses the air duel over Nowshera and Wing Co Abhinandan Varthaman's issue as a prop. @IAF_MCC @thetribunechd @SpokespersonMoD @DefenceMinIndia pic.twitter.com/30v4H6MOpU
— Ajay Banerjee (@ajaynewsman) June 11, 2019
বালাকোট বিমান হামলার পরদিন ২৭ ফেব্রুয়ারি কাশ্মীরের রাজৌরি সেক্টর দিয়ে ভারতীয় আকাশ সীমায় ঢোকার চেষ্টা করে ১৬টি পাক এফ-১৬ যুদ্ধবিমান। তারই একটিকে পিছু হটাতে নিজের মিরাজ বাইসন জেট নিয়ে রওনা দিয়েছিলেন অভিনন্দন। কিন্তু বিমান ভেঙে পড়ায় তিনি পাক সেনার হাতে বন্দি হন। তাঁর একটি ভিডিয়ো প্রকাশ করে পাক সেনা। সেখানে দেখা যায়, এরকমই চায়ের কাপ হাতে রয়েছেন অভিনন্দন। তাঁকে প্রশ্ন করা হচ্ছে। বেশিরভাগ প্রশ্নের উত্তরেই তিনি বলছেন, ‘সরি স্যার, আমার এটা বলার অধিকার নেই।’ ৬০ ঘণ্টা পাক সেনার হেফাজতে থাকার পর মুক্তি দেওয়া হয় অভিনন্দনকে।
তবে এই বিজ্ঞাপনে কিছু জিনিসকে বিকৃত করা হয়েছে। অভিনন্দন পাক সেনার প্রশ্নের মুখেও ঠান্ডা মাথায় শান্ত হয়ে উত্তর দিচ্ছিলেন। কিন্তু এখানে যে ব্যক্তিকে অভিনন্দন সাজানো হয়েছে, তিনি ভয়ে ভয়ে উত্তর দিচ্ছেন। এমনকী অভিনন্দনের গায়ের রংও কালো দেখানো হয়েছে।
আর এই বিজ্ঞাপন বের করার পর থেকেই শুরু হয়েছে সমালোচনা। শুধু ভারত নয়, গোটা বিশ্বে এর সমালোচনা হচ্ছে। সবাই বলছেন, একটা খেলার আবহে এই ধরণের বিষয় নিয়ে বিজ্ঞাপন না বানালেই ভালো হতো। কেউ বলছেন, পাকিস্তানই সব সময় ভারতের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের মনোভাব নিয়ে থাকে। আবার কেউ বলছেন, এই বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে পাকিস্তানের মানসিকতা বোঝা যাচ্ছে। বিজ্ঞাপনে অভিনন্দনের গায়ের রংয়ের জন্য অনেকে একে বর্ণবিদ্বেষীও বলেছেন। এমনকী পাকিস্তানের অনেক মানুষও এই বিজ্ঞাপনের সমালোচনা করেছেন।
যদিও ভারত বা পাকিস্তান দলের তরফে এই বিজ্ঞাপন নিয়ে এখনও কোনও মন্তব্য করা হয়নি। তবু বলা যায়, এই বিজ্ঞাপন ভারত-পাক ম্যাচের উত্তাপ বাড়িয়ে দিয়েছে বেশ কয়েক গুণ।