Latest News

উত্তরপ্রদেশের এক জেলাতেই করোনা আক্রান্ত ৫০ শ্রমিক, সম্প্রতি মহারাষ্ট্র থেকে ফিরেছেন তাঁরা

এই নিয়ে এই জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০৪। তার মধ্যে এখনও পর্যন্ত ২৮ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন।

দ্য ওয়াল ব্যুরো: কেন্দ্রের নির্দেশের পরে ট্রেনে, বাসে করে নিজেদের রাজ্যে ফিরতে শুরু করেছেন পরিযায়ী শ্রমিকরা। আর এই শ্রমিকদের ফেরার পরেই যোগী আদিত্যনাথের রাজ্যে শুরু হয়েছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি। জানা গিয়েছে লখনউ থেকে ১৯০ কিলোমিটার দূরে বাস্তি জেলাতে ৫০ জন শ্রমিকের দেহে কোভিড ১৯ সংক্রমণ ধরা পড়েছে। এই নিয়ে এই জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০৪। তার মধ্যে এখনও পর্যন্ত ২৮ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন।

বাস্তির জেলাশাসক আশুতোষ নিরঞ্জন জানিয়েছেন, “নতুন আক্রান্তেরা প্রত্যেকেই জেলায় ফেরা পরিযায়ী শ্রমিক। তাই সাধারণ মানুষের আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। সংখ্যা বাড়ার মানে হচ্ছে নমুনা পরীক্ষার সংখ্যাও বাড়ছে। যাতে আমাদের জেলায় সংক্রমণ ছড়াতে না পারে তাই পর্যবেক্ষণ পূর্ণ মাত্রায় চলছে। তাই এই শ্রমিকরা ফেরার পরেই সংক্রমণ ধরা পড়েছে। এতে এই সংক্রমণ ছড়ানোর সুযোগ পাবে না। ফলে জেলায় সংক্রমণের চেইনকে ভাঙতে সক্ষম হব আমরা।”

জেলাশাসক আরও জানিয়েছেন, “এই শ্রমিকরা প্রত্যেকেই মহারাষ্ট্র থেকে ফিরেছিলেন। গত সপ্তাহেই তাঁরা ফিরেছেন। মহারাষ্ট্রের কোথায় তাঁরা থাকতেন সেটা জেনে আমরা মহারাষ্ট্র সরকারকেও তা জানাব, যাতে সেখানে সংক্রমণ না ছড়ায়। এই তথ্য নিয়ে মহারাষ্ট্র প্রশাসন সেইসব এলাকায় কারা এই শ্রমিকদের সংস্পর্শে এসেছিলেন তা খুঁজে বের করতে সক্ষম হবে।”

আরও পড়ুন ২৪ ঘণ্টায় ভারতে কোভিড পজিটিভ আরও ৫৬১১, এক দিনে সর্বাধিক আক্রান্ত

উত্তরপ্রদেশের স্বাস্থ্য দফতরের মুখ্যসচিব অমিত মোহন প্রসাদ জানিয়েছেন, “রাজ্যে ফেরা পরিযায়ী শ্রমিকদের একটা বড় অংশের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাঁদের শেল্টার হোমে রেখে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। যদি কারও মধ্যে উপসর্গ ধরা না পড়ে তাহলে তাঁদের ২১ দিন হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। আর উপসর্গ ধরা পড়লে আইসোলেশন সেন্টারে রেখে তাঁদের চিকিৎসা করা হচ্ছে।”

স্বাস্থ্য দফতরের মুখ্যসচিব আরও বলেন, “সংক্রমণ রুখতে গ্রামে পর্যবেক্ষণ করা খুবই দরকার। বাইরে থেকে যাঁরা আসছেন, প্রত্যেককে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা উচিত। উত্তরপ্রদেশে গোটা রাজ্যে কোভিড আক্রান্তের হার ২.৬ শতাংশ। সেখানে রাজ্যে ফেরা শ্রমিকদের মধ্যে করোনা আক্রান্তের হার ২২.২ শতাংশ।”

You might also like