Latest News

কলকাতা, হাওড়া-সহ দেশের ৩০ পুর এলাকায় কড়া নজরদারির নির্দেশ কেন্দ্রের

কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, লকডাউনের চতুর্থ পর্যায়ে দেশের বেশিরভাগ এলাকাতেই কড়াকড়ি অনেকটা শিথিল করা হলেও এই ৩০টি পুর এলাকায় কড়াকড়ি হয়তো আগের মতোই থাকবে। তার বাইরেও কিছু নিয়ম কার্যকর হতে পারে। সেই ব্যাপারে কেন্দ্রের ঘোষণার দিকেই তাকিয়ে সবাই।  

দ্য ওয়াল ব্যুরো: ভারতে করোনা সংক্রমণ মোকাবিলায় লকডাউনের তৃতীয় পর্যায় আজ শেষ হচ্ছে। চতুর্থ পর্যায়ের লকডাউনে কী কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে তা জানা যাবে আজ। কিন্তু তার আগে কেন্দ্রের তরফে জানানো হল, দেশের ৩০টি পুর এলাকার দিকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে।

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, ১২ রাজ্যের এই ৩০ পুর এলাকাতেই দেশের ৭৯ শতাংশ কোভিড আক্রান্তের খবর পাওয়া গিয়েছে। তাই এই এলাকাগুলিতে বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে। এই ১২টি রাজ্য হল অন্ধ্রপ্রদেশ, দিল্লি, গুজরাত, মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, ওড়িশা, পঞ্জাব, রাজস্থান, তামিলনাড়ু, তেলেঙ্গানা, পশ্চিমবঙ্গ ও উত্তরপ্রদেশ।

যে ৩০টি পুর এলাকা চিহ্নিত করা হয়েছে তাতে এই রাজ্যের দুটি এলাকা রয়েছে। কলকাতা ও হাওড়া। এছাড়া যে পুর এলাকাগুলি চিহ্নিত করা হয়েছে সেগুলি হল, বৃহন্মুম্বই, গ্রেটার চেন্নাই, আহমেদাবাদ, থানে, দিল্লি, ইন্দোর, পুনে, জয়পুর, নাসিক, যোধপুর, আগ্রা, তিরুভাল্লুর, ঔরঙ্গাবাদ, কুদ্দালোর, গ্রেটার হায়দরাবাদ, সুরাট, চেঙ্গালপাত্তু, আরিয়ালুর, কুর্নুল, ভোপাল, অমৃতসর, ভিল্লুপুরম, বদোদরা, উদয়পুর, পালঘর, বেরহামপুর, সোলাপুর ও মিরাট।

আরও পড়ুন ২৪ ঘণ্টায় কোভিড পজিটিভ প্রায় ৫০০০, এক দিনে সুস্থও হয়েছেন প্রায় ৪০০০, ভারতে আক্রান্তের সংখ্যা ৯১ হাজার ছুঁল

শনিবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব প্রীতি সুদন ও স্বাস্থ্যমন্ত্রকের অন্যান্য আধিকারিকরা এই ১২টি রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব, ৩০টি পুর এলাকার কমিশনার, জেলাশাসক ও অন্যান্য আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেই বৈঠকে কেন্দ্রের তরফে কয়েকটি বিষয়ের দিকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে বলা হয়েছে। চতুর্থ পর্যায়ের লকডাউনে এই ৩০টি পুর এলাকার দিকেই বিশেষ গুরুত্ব দিতে চলেছে কেন্দ্র। তাই এইসব এলাকায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে পর্যবেক্ষণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইনফ্লুয়েঞ্জা ও সিভিয়ার অ্যাকিউট রেসপিরেটরি ইনফেকশন কারও মধ্যে আছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে।

জানা গিয়েছে, লকডাউনের চতুর্থ পর্যায়ে এই ৩০টি এলাকার জন্য আলাদা করে গাইডলাইন দেওয়া হবে। কী ভাবে সেখানে কন্টেইনমেন্ট জোন ও বাফার জোন চিহ্নিত করা হবে, কন্টেইনমেন্ট জোনে কী কী নির্দেশ মানতে হবে, সে সবই জানানো থাকবে এই নির্দেশিকায়। এইসব এলাকার কী ভাবে সংক্রমণ বাড়ছে, মৃত্যহার, ডাবলিং রেট, টেস্ট সবকিছুর উপর নজর দেওয়া হচ্ছে।

কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, লকডাউনের চতুর্থ পর্যায়ে দেশের বেশিরভাগ এলাকাতেই কড়াকড়ি অনেকটা শিথিল করা হলেও এই ৩০টি পুর এলাকায় কড়াকড়ি হয়তো আগের মতোই থাকবে। তার বাইরেও কিছু নিয়ম কার্যকর হতে পারে। সেই ব্যাপারে কেন্দ্রের ঘোষণার দিকেই তাকিয়ে সবাই।

You might also like