
ভারতে ক্রমাগত বাড়ছে করোনাভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যাও। দেশে কোভিড ১৯-এ আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৫০০ ছুঁইছুঁই। মৃত্যুও হয়েছে মোট ১২ জনের। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন দু’জন বিদেশি নাগরিক। পরিস্থিতি ক্রমাগত ভয়াবহ হচ্ছে। স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা এমন অবস্থায় অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। তাই উপসর্গ দেখা দিলে সমস্ত রোগী যেন সঠিক পরিষেবা পান সেজন্যই পুণের নাইসেডের পাশাপাশি এবার দেশের ১৬টি বেসরকারি ল্যাবও করোনাভাইরাসের সংক্রমণের পরীক্ষা-নিরীক্ষার অনুমোদন পেয়েছে।
তবে যে কেউ চাইলেই এসব প্রাইভেট ল্যাবে এসে পরীক্ষা করাতে পারবেন না। মেডিক্যাল কাউন্সিলের নিয়ম অনুসারে যাঁদের সাম্প্রতিক সময়ে বিদেশে যাওয়া হয়েছে এবং যাঁদের মধ্যে কোনও লক্ষণ দেখা দেবে তাঁদের নমুনা সংগ্রহ করে এইসব গবেষণাগারে পরীক্ষা করা হবে। মহারাষ্ট্রে ৫টি, দিল্লিতে ৩টি, তামিলনাড়ুতে ২টি ল্যাবের পাশাপাশি, হরিয়ানা-গুজরাত-হায়দরাবাদ-কর্নাটক এই সব রাজ্যেও বেসরকারি ল্যাবে কোভিড ১৯ সংক্রমণের পরীক্ষা-নিরীক্ষার ব্যবস্থা থাকছে।
তবে পশ্চিমবঙ্গে এখনও কোনও বেসরকারি গবেষণাগারকে কোভিড ১৯ সংক্রমণের পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য অনুমোদন দেয়নি আইসিএমআর। সূত্রের খবর, গত সপ্তাহে সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের নিয়ে হওয়া প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ভিডিও কনফারেন্স বৈঠকেও এই প্রসঙ্গের উত্থাপন করেছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর বারবার আবেদন সত্ত্বেও এখনও পশ্চিমবঙ্গের কোনও গবেষণাগারকে এই পরীক্ষার অনুমতি দেওয়া হয়নি বলেই খবর। তবে এবার দেশের একডজন বেসরকারি গবেষণাগারকে কেন্দ্র অনুমতি দেওয়ায় আশাবাদী বাংলাও।