
এদিন, বিজেপি বিধায়কদের বিক্ষোভ আন্দোলনের মুখে বাজেট ভাষণ পাঠ না করেই চলে যাচ্ছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। বিক্ষোভের মুখেও বাজেট ভাষণ পাঠের অসংখ্য দৃষ্টান্ত আছে রাজ্যে রাজ্যে। দিন কয়েক আগেই কেরলের রাজ্যপালের ভাষণের সময় বিরোধী কংগ্রেস তুমুল বিক্ষোভ করে। কিন্তু রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খান ওই পরিস্থিতির মধ্যেই ভাষণ পাঠ করেন।
আমার বাপ তুলেছে তৃণমূল, বিধানসভায় তুলকালামের পর তোপ শুভেন্দুর
মহারাষ্ট্রে আবার শাসন দল শিবসেনার জোটের বিধায়কদের বিক্ষোভের মুখে দ্রুত বিধানসভা ছাড়েন রাজ্যপাল ভগৎ সিং কোশিয়ারি। তিনি প্রথম ও শেষের লাইন পাঠ করে চলে যান। অতীতে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভাতেও একই ঘটনা ঘটেছে। রাজ্যপালকে শারীরিকভাবে হেনস্থার ঘটনাও বাদ যায়নি। কিন্তু রাজ্যপাল ভাষণ পাঠ করতে বেঁকে বসেছেন, এমন নজির নেই।
এদিন পূর্বসূরীদের পথে না হেঁটে রাজ্যপাল ধনকড় সোমবার ভাষণ পাঠ না করেই চলে যেতে চাইছিলেন বিধানসভার অধিবেশন কক্ষ থেকে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা। বন্দ্যোাধ্যায় এবং বেশ কয়েকজন মন্ত্রী ও প্রবীণ বিধায়ক রাজ্যপালকে রারে বারে অনুরোধ করেন ভাষণ পাঠ করতে। অন্তত এক দু লাইন পড়ুন। কিন্তু রাজ্যপাল তাতে সাড়া দিতে চাননি।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুমান রাজ্যপাল ভাষণ পড়তে চাইছিলেন না। হতে পারে ওঁর ওপর চাপ ছিল। তবে শেষ পর্যন্ত সাংবিধানিক সংকট এড়ানো গেছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, উনি ভাষণ পাঠ না করলে সাংবিধানিক সংকট হতে পারত।
ওয়াকিবহাল মহলের মতে, ভাষণ রাজ্যপাল পাঠ না করলে অধিবেশন বসেনি বলেই ধরে নিতে হত। যদিও কারও কারও বক্তব্য, রাজ্যপাল অধিবেশন কক্ষে প্রবেশ করার পর জাতীয় সঙ্গীত বাজা মানেই ধরে নিতে হবে অধিবেশন বসেছে। কারও মতে রাজ্যপাল অধিবেশন কক্ষে প্রবেশ করে চলে যাওয়ার পর বিধানসভায় স্পিকারই শেষ কথা। তিনি যদি রুলিং দেন, রাজ্যপালের ভাষণের কপি অধিবেশন কক্ষের টেবিলে লে হয়ে যাওয়া মাত্র তা পাঠ হয়েছে ধরে নেওয়া যায়। তবে এদিন বাজেটের শেষ লাইন পড়েছেন রাজ্যপাল।
এদিনের ঘটনা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, নজিরবিহীন ঘটনা। আমাদের সদস্যরা কিছুই করেননি। বিজেপি ইচ্ছাকৃতভাবে এটা করলো। ওরা হেরে ভুত হয়ে গিয়েও শিক্ষা নেয় নি। এটা খুবই আনফরচুনেট। পৌনে একঘন্টা ধরে এটা করলো। নিজেদের ওয়ার্ডে হেরে গিয়েও লজ্জা নেই। আমি বুঝতে পারছি না। কিছু একটা প্রেসার ছিলো ওনার উপর। উনি না পড়ে গেলে এটা সাংবিধানিক সঙ্কট হতো। রাজ্যপাল ভাষণ না দিলে বাজেট সেশন শুরু করা যেত না।