
দ্য ওয়াল ব্যুরো: শনিবার রাতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ধর্মতলার ধর্না মঞ্চ ছাড়তেই তৃণমূলের ছাত্র জমায়েতের ভিড় নিমেষে ফিকে হয়ে গিয়েছিল। তার কারণও ছিল, দিদিই বলে দিয়েছিলেন বাড়ি ফিরে যেতে। কিন্তু বাম ছাত্রদের একটা বড় অংশ তো বাড়ি ফেরেননি। রাতে ধর্মতলাতেই হত্যে দিয়ে ছিলেন। তার পর রবিবার সকাল হতে তাঁরাই দখল নিয়ে নেন গোটা ধর্মতলার। অন্তত হাজার তিনেক বাম ছাত্র সমর্থক তো ছিলেনই। সেই সঙ্গে আবার মোদী বিরোধী স্লোগান তুলে যোগ দিয়েছিলেন কংগ্রেসের কয়েক’শ সমর্থক। কিন্তু দেখা যায় রানি রাসমনি রোডে তৃণমূলের মঞ্চ খাঁ খাঁ করছে। সারি দেওয়া সব চেয়ার শূন্য পড়ে আছে।
অথচ গতকাল রাতে বাম ছাত্ররা যখন দিদিকে এই মঞ্চের সামনেই ঘেরাও করেছিলেন, তখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়ে বলেছিলেন কাল অর্থাৎ রবিবার যেন এই মঞ্চ যেন আয়তনে আরও বাড়ানো হয়। এ ব্যাপারে পুলিশের অনুমতি নেওয়াও হয়ে গিয়েছে বলে জানিয়েছিলেন তিনি। সেই মোতাবেক মঞ্চ বাড়ানোর কাজ রবিবার সকাল থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছিল।
কিন্তু যাঁদের জন্য মঞ্চ বাঁধা হচ্ছে, তাঁরা কোথায়? স্বামী বিবেকানন্দর প্রতিকৃতিতে যখন মালা দেন তৃণমূল নেতা বৈশ্বানর চট্টোপাধ্যায় তখন মেরেকেটে উপস্থিত মাত্র দেড়শ টিএমসিপি কর্মী সমর্থক।
বিপরীতে বাম ছাত্রছাত্রীরা সকাল থেকেই পোস্টার, ব্যানার নিয়ে মোদী বিরোধী স্লোগানে আকাশ মাথায় করে রাখেন। এদিন বেলা ১১ টায় নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে কলকাতা বন্দর কর্তৃপক্ষের অনুষ্ঠানে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী। সেই কারণে, নেতাজি ইনডোর পৌঁছনোর লক্ষ্যে বাম ছাত্ররা এগোতে শুরু করেছিলেন। পুলিশ অবশ্য ব্যারিকেড তৈরি করে তাঁদের আটকে দেয়। কিন্তু তাঁরা স্লোগান চালিয়ে যেতে থাকেন। নেতাজি ইনডোরের অনুষ্ঠান শেষ হলেই দিল্লির উদ্দেশে রওনা দিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী। তার পর অবশ্য রণে ভঙ্গ দেন বামেরাও। বিক্ষোভ কর্মসূচী আজকের মতো শেষ বলে ঘোষণা করেন তাঁরা।