
নিহতের নাম রতন কর্মকার (৬০)। আগে তিনি হুগলির আদিসপ্তগ্রামে থাকতেন। মানিকতলা হাটেই কাপড়ের ব্যবসা করতেন তিনি। বছর কুড়ি আগে মানিকতলা এলাকাতেই ঘর ভাড়া নিয়ে থাকতে শুরু করেন রতনবাবু। বছর পনেরো আগে তিনি ওই এলাকায় জায়গা কিনে টালির চালের বাড়ি করেন। দুই মেয়ে ও স্ত্রীকে নিয়ে আসেন হুগলি থেকে। রতন কর্মকারের দুই মেয়েরই বিয়ে হয়ে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বড় মেয়ে দিল্লিতে থাকেন। ছোট মেয়ে স্বামীকে নিয়ে বাপের বাড়িতেই থাকেন।
এই ঘটনায় আরও অনেকেই জড়িত রয়েছে বলে মনে করছে পুলিশ। পুলিশের কাছে প্রাথমিক রিপোর্ট এই যে, হাটে চুরির ঘটনায় ক্লাবের মাথারা রতনবাবুকে সন্দেহ করেন। তারপরই এই ঘটনা বলে মনে করছে তদন্তকারীরা। ক্লাবের ভিতর থেকে বাঁশ, উইকেট উদ্ধার হয়েছে। মনে করা হচ্ছে এ সব দিয়েই পেটানো হয়েছিল রতনকে।
যদিও তাঁর পুরনো এলাকা আদিসপ্তগ্রাম রায় পাড়ার বাসিন্দারা জানিয়েছেন, এর আগেও চুরির অভিযোগ উঠেছিল রতনের বিরুদ্ধে। বছর তিনেক আগে জেলও খাটতে হয়।
বুধবার সকালে শিববাড়ি মাঠ এলাকার বাজার থেকে চোর সন্দেহে রতন কর্মকারকে আটক করে স্থানীয়রা। এরপর এলাকারই একটি ক্লাবঘরে তাঁকে আটকে রাখা হয়। সেখানেই তাঁকে বেঁধে রেখে চোর সন্দেহে চলে বেধড়ক মারধর। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। রক্তাক্ত রতনকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। সেখানেই তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। তালাবন্ধ ক্লাব থেকে ওই রতনকে উদ্ধার করে পুলিশ। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।