
এদিন বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে ছিল এই মামলার শুনানি। সেখানে ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল ওয়াই জে দস্তুর ও সরকারি আইনজীবী কিশোর দত্তকে নিয়ে একটি কমিটি গড়ে দেওয়া হচ্ছে। এই কমিটি ময়দানের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকবে। সেইসঙ্গে ময়দানকে ঘিরে আগামী দিনে কী কী পরিকল্পনা করা যেতে পারে সেই প্রসঙ্গ খতিয়ে দেখে রিপোর্ট জমা দেবে এই কমিটি।
শুধু জঞ্জাল ফেলা নয়, মাঠের মধ্যে যেভাবে বেআইনি পার্কিং করা হয়, রাস্তা জুড়ে যেভাবে গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকে তা নিয়েও বেজায় ক্ষুব্ধ ছিল হাইকোর্ট। তবে মামলার পর পুলিশ যেভাবে কাজ করেছে তাতে সন্তুষ্ট কোর্ট।
গত সোমবার এই মামলা দায়ের হয় খোদ বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে। তিনি নিজেরই একটি কাজে গিয়েছিলেন কোথাও, তার পরে ফিরে আসছিলেন হাইকোর্টে। ময়দানের পাশ দিয়ে আসার সময়ে হঠাৎই সেখানে তাঁর চোখে পড়ে স্তূপাকার কাগজের ডাঁই, যত্রতত্র নোংরা পড়ে থাকা। এ দৃশ্য দেখে রীতিমতো বিরক্ত হন বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়। অবাক হন রেড রোডের পাশে জঞ্জালও দেখেও।
শেষমেশ বিরক্ত হয়ে বিচারপতি অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল ও অ্যাডভোকেট জেনারেলকে সোমবার জানিয়ে দেন, ময়দানে জঞ্জাল ফেলা হচ্ছে কেন, সে বিষয়ে সুয়োমোটো মামলা করছে হাইকোর্ট।
মামলা দায়ের করার সময় বিচারপতি বন্দ্যোপাধ্যায় হসপিটাল রোড, কুইনস রোড, ডাফরিন রোড, ক্যাথিড্রাল রোড, মেয়ো রোড, খিদিরপুর রোডের কথা উল্লেখ করে বলেন, “এই সব রাস্তার দুধারে বেআইনি পার্কিং চলছে। সুপ্রিম কোর্টের বিশেষ নির্দেশ থাকার পরেও কীভাবে ময়দানে পার্কিং হচ্ছে?” অবশ্য আদালতের এই কথার পরে পার্কিং নিয়ে যথাযথ পদক্ষেপ পুলিশ নিয়েছে বলেই জানিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ।