Latest News

কলকাতার বড় আবাসনগুলির কমিউনিটি হল, বেসমেন্টে তৈরি হতে পারে আইসোলেশন ওয়ার্ড, প্রস্তাব পুরসভার

দ্য ওয়াল ব্যুরো: কলকাতায় করোনার ঢেউ আছড়ে পড়েছে। সংক্রমিত রোগী লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। ভাইরাস সক্রিয় রোগীও লাগামছাড়া। তার ওপর সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালগুলিতে কোভি শয্যার অভাব দেখা দিচ্ছে। আইসিইউ বেডও সীমিত। এমন পরিস্থিতিতে শহরের বিভিন্ন আবাসনগুলির কমিউনিটি হল বাস বেসমেন্টগুলিকে কোভিড কেয়ার সেন্টার বা আইসোলেশন ওয়ার্ড বানানো যেতে পারে। এমনটাই প্রস্তাব দিল কলকাতা পুরসভা।

কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা যে হারে বেড়ে চলেছে তাতে  সিঁদুরে মেঘ দেখছেন কলকাতা পুরসভার কর্তারা। কোভিড-প্রোটোকল অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলার কথা বলা হচ্ছে। মাস্ক পরা, পারস্পরিক দূরত্ব বিধি মানার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে শহরবাসীকে। করোনার সংক্রমণ রুখতে শহরে একাধিক সেফ হোম চালু করার কথা আগেই ঘোষণা করেছিলেন রাজ্যের বিদায়ী পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী তথা প্রাক্তন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। ওই সমস্ত সেফ হোম দ্রুত চালু করার পাশাপাশি ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে স্যানিটাইজেশনের কাজও শুরু হচ্ছে। করোনা প্রতিরোধে আরও একাধিক পদক্ষেপ করতে চলেছে কলকাতা পুরসভা। তার জন্য পুর স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকরা ছাড়াও একাধিক দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকও করেছেন পুর কমিশনার বিনোদ কুমার।

পুরসভার তরফে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, শহরে অনেক বড় বড় আবাসনের কমিউনিটি হল রয়েছে। তাছাড়াও কমপ্লেক্সগুলির বেসমেন্ট বা গ্রাউন্ড ফ্লোরেও অনেক জায়গা থাকে। সেগুলিকে কোভিড কেয়ার সেন্টার বানানোর কাজে ব্যবহার করা যেতে পারে। কমিউনিটি হলে আইসোলেশন ওয়ার্ড বানালে একসঙ্গে অনেকগুলি কোভিড শয্যা রাখা সম্ভব হবে। অনেকে কমিউনিটি হলের সঙ্গেই লাগোয়া শৌচাগার থাকে তাই রোগীদের সুবিধাও হবে। এই ওয়ার্ডগুলি অক্সিজেন সিলিন্ডার রাখার ব্যবস্থা করা যেতে পারে।

টেলিমেডিসিন পরিষেবাতেও গতি আনার কথা বলা হয়েছে। গত বছর করোনা রোগীদের বাড়ি বসেই চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়ার জন্য টেলিমেডিসিন চালু করা হয়েছিল। তাছাড়া বাড়ি বসে যাতে করোনা টেস্টের সুবিধা পাওয়া যায়, সে জন্য একটি হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরও চালু করা হয়েছিল। এবছরও সেই পরিষেবা ঠিকঠাকভাবে দেওয়ার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে পুরসভার তরফে। রোগীরা বাড়ি বসেই পুরসভার ডাক্তার বা স্বাস্থ্যকর্মী অথবা ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে যুক্ত অভিজ্ঞ ডাক্তারদের পরামর্শ নিতে পারবেন। প্রতিটি ওয়ার্ডের জন্য নির্দিষ্ট নম্বর থাকবে। ওষুধ, অ্যাম্বুল্যান্ড পরিষেবা সহ যাবতীয় জরুরি অবস্থার জন্য সাহায্য চাইতে পারবেন রোগীরা।

কলকাতা পুরসভার তরফে কয়েকটি হেল্পলাইন নম্বরও চালু করা হয়েছে—১৮০০-৩১৩-৪৪৪-২২২, (০৩৩)৪০৯০ ২৯২৯/২২১৯ ৭২০২/২২৪১ ১২৫৫ (অ্যাম্বুল্যান্স), (০৩৩) ২৩৫৭ ৬০০১ (টেলিমেডিসিন), (০৩৩)২২৮৬ ১২১২/২২৮৬ ১৩১৩ (কেএমসি কন্ট্রোল রুম), ৮৩৩৫৯ ৮৮৮৮৮ (হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর)।

You might also like