
২০১৭র সেই ঘটনায় ৬০এর বেশি বাচ্চা মারা গিয়েছিল। সেজন্য তাঁকে দোষী ঘোষণা করে গত বছর ৯ নভেম্বর চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়। হাইকোর্টে তাকে চ্যালেঞ্জ করেন কাফিল। তাঁর দাবি, তাঁকে বলির পাঁঠা করা হয়েছে।
গোরক্ষপুর কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ ৩ মার্চ, ষষ্ঠ দফায়। কোনও পার্টি বা কেউ কি প্রার্থী হওয়ার ব্যাপারে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন? কাফিল বলেছেন, হ্যাঁ। কথাবার্তা চলছে। সব ঠিকঠাক এগলে আমি ভোটে লড়ছি। তবে কাদের সঙ্গে আলোচনা চলছে, তা খোলসা করেননি তিনি।
কাফিল জানিয়েছেন, হাসপাতালে ট্র্যাজেডির খবর জাতীয় রাজনীতিতে শোরগোল ফেলতেই সঙ্কট মোকাবিলায় নিরলস পরিশ্রম করায় ও স্বাস্থ্য পরিষেবার গলদের ছবি তুলে ধরায় হিরো আখ্যা পান তিনি। কিন্তু তার কয়েকদিন বাদেই তিনি সহ ৯ জনের নামে দুর্নীতি এ চিকিত্সায় গাফিলতি সহ একাধিক অভিযোগ তোলা হয়। তিনি জেলবন্দি হন।
২০২০র জানুয়ারি মাসেও কাফিলকে গ্রেফতার করে আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ে প্ররোচনামূলক ভাষণ দেওয়ায় জাতীয় নিরাপত্তা আইনে অভিযু্ক্ত করা হয়। এলাহাবাদ হাইকোর্ট তাঁর বিরুদ্ধে এনএসএ সংক্রান্ত অভিযোগ খারিজ করলেও ততদিনে ৫ মাস জেলে কাটানো হয়ে গিয়েছে তাঁর।
হাসপাতালে শিশুমৃত্যুর ট্রাজেডি নিয়ে কাফিলের লেখা বই বেরিয়েছে। সেই বইয়ের বিক্রি, প্রচার উপলক্ষ্যে দেশের নানা শহরে ঘুরছেন তিনি।
তবে কাফিল কাঠগড়ায় তুলেছেন উত্তরপ্রদেশ পুলিশকে। তিনি গোরক্ষপুরে না থাকা সত্ত্বেও পুলিশ তাঁর বাড়ি গিয়ে ৭০ বছরের মা-কে জেরার নামে হেনস্থা করেছে বলে দাবি কাফিলের। ভাই আদিল খানের পরিবারের সঙ্গে গোরক্ষপুরের বসন্তপুরে থাকেন কাফিলের মা।