
বান্দিপোরা থেকে ২৮ কিলোমিটার দূরের একটি ছোট্ট গ্রাম। পাহাড়ি রাস্তা। গাড়ি চলাচলের তেমন সুবিধা নেই। গ্রামে ঢুকতে হলে ১৮ কিলোমিটার প্রায় পায়ে হেঁটেই যেতে হয়। বান্দিপোরার স্বাস্থ্য দফতর জানাচ্ছে, এই গ্রামে ১০০ শতাংশ টিকাকরণের লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছিল। কয়েকজন স্বাস্থ্যকর্মী, মেডিক্যাল অফিসারকে পাঠানো হয়েছিল গ্রামে। তাঁরাই টিকাকরণের নীতি নির্ধারণ করেন। ৪৫ বছরের বেশি বয়সীদের সকলকেই টিকার দুটি করে ডোজ দেওয়া হয়ে গেছে। এখন ১৮ থেকে ৪৪ বছর বয়সীদের টিকাকরণ চলছে। সেটাও প্রায় শেষের দিকে। কমবয়সীদের বেশিরভাগকেই ভ্যাকসিনের একটি ডোজ দেওয়া হয়ে গেছে।
জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক বসির আহমেদ খান বলছেন, গত মাসেই বয়স্কদের ৭০ শতাংশের টিকাকরণ হয়ে গিয়েছিল। এ মাসে বাকিদের টিকাকরণ সম্পূর্ণ করা হয়েছে। এই গ্রামে ইন্টারনেট পরিষেবা নেই। তাই নাম নথিভুক্ত করিয়ে টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করা যায়নি। সেক্ষেত্রে অন্য পদ্ধতিতে টিকাকরণ করা হয়েছে এই গ্রামে। স্বাস্থ্যকর্মীরা ‘জম্মু-কাশ্মীর মডেল’ অনুসরণ করে ঘরে ঘরে পৌঁছে গিয়েছিলেন। যেখানে দুঃস্থ রোগীরা রয়েছেন তাঁদের টিকাকরণ শিবিরে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। গোটা গ্রাম ঘুরে ৪৫ বছরের বেশি কতজন টিকা নিতে পারেন সে নামের তালিকা তৈরি করেছিলেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। ভ্যাকসিন নেওয়ার পরে কোনওরকম শারীরিক সমস্যা হচ্ছে কিনা সে খেয়ালও রাখা হয়েছিল। এখন এই পদ্ধতিতেই কমবয়সীদের টিকা দেওয়া হচ্ছে।
জম্মু-কাশ্মীরে টিকাকরণ প্রক্রিয়া শুরু থেকেই দুরন্ত গতিতে চলছে। মাঝে ভ্যাকসিনের জোগান কমে যাওয়া কিছুটা সমস্যা হলেও এখন ফের জোরকদমে টিকাকরণ শুরু হয়ে গেছে প্রত্যন্ত গ্রামগুলিতে। ৪৫ বছরের ঊর্ধ্বে থাকা মানুষজনদের মধ্যে ৭১.৯৩ শতাংশকেই টিকার অন্তত প্রথম ডোজটি দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে শোপিয়ান, গান্ডেরবাল এবং জম্মু জেলার কিছু গ্রাম ১০০ শতাংশ লক্ষ্যমাত্রার দিকে এগিয়ে চলেছে।