
কদিন আগেই ট্রাম্প বলেছিলেন ইস্টারের আগে অর্থাৎ ১২ এপ্রিলের আগে আমেরিকায় স্বাভাবিক পরিস্থিতি তিনি ফেরাবেন। কিন্তু এ দিন তিনি বলেন, ১ জুন থেকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে বলে তিনি আশা করছেন। তবে সেই সঙ্গে আরও একটি মারাত্মক মন্তব্যও করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ইতিমধ্যেই আমেরিকায় কোভিড-১৯ এ মৃত্যু হয়েছে ২৪০০ জনের। ট্রাম্প এদিন বলেন, আগামী দু’সপ্তাহে মৃত্যুর সবথেকে বেশি বাড়তে পারে। তাঁর কথায়, আমেরিকায় করোনা সংক্রমণে মৃত্যু ১ লক্ষের মধ্যে বেঁধে রাখতে পারলে বুঝতে হবে তাঁর প্রশাসন ভাল কাজ করেছে।
বিশ্ব জুড়ে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ মহামারীর চেহারা নেওয়ার আগে পর্যন্ত এ ব্যাপারে ট্রাম্প প্রশাসনের যে সক্রিয় ছিল না ঘোর বাস্তব। বরং মার্কিন প্রেসিডেন্টের একের পর এক মন্তব্য নিয়ে ঘরোয়া রাজনীতিতে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। বাইরেও সমালোচনা হয়েছে বিস্তর। রবিবারও হোয়াইট হাউজে সাংবাদিক বৈঠকের সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে তাঁর কথা কাটাকাটি হয় বিস্তর।
সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেন, আসলে তিনি আশাবাদী ছিলেন যে ১২ এপ্রিলের মধ্যে সব ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু তাঁর উপদেষ্টারা তাঁকে বলেছেন, যেন তাড়াহুড়ো না করা হয়। সেই কারণেই সোশাল ডিস্টেন্সিংয়ের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, এর আগে ১৫ দিনের জন্য তা বলবৎ হয়েছিল। তার মেয়াদ শেষ হচ্ছে আজ সোমবার। এখন তা বাড়িয়ে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত করা হয়েছে। সরকারের তরফে বলা হয়েছে, কোথাও এক সঙ্গে বেশি লোক জড়ো হওয়া যাবে না। কারও শারীরিক সমস্যা থাকলে যেন বাড়িতেই থাকেন। যথাসম্ভব বাড়িতে থেকে কাজ করেন পেশাদাররা। রেস্তোরাঁ, পানশালায় যেন বিশেষ মা যান। এবং অতিশয় প্রয়োজন ছাড়া যেন সফর না করেন।