
দেশে দু’দিন আগেই করোনা সংক্রমণের হার ছিল ২০.৭৫ শতাংশ, আজকের হিসেবে ১৫.৫২ শতাংশ। সাপ্তাহিক সংক্রমণের হার এখনও ১৭ শতাংশের কাছাকাছি। তবে দৈনিক আক্রান্ত কিছুটা হলেও কমেছে বলে আশায় বুক বেঁধেছেন স্বাস্থ্য আধিকারিকরা। টানা পাঁচদিন তিন লাখের বেশি করোনা আক্রান্ত হচ্ছিল একদিনে, এখন সেখানে আড়াই লাখের কাছাকাছি নতুন সংক্রমণ ধরা পড়েছে। সুস্থতার হার ৯৩ শতাংশ।
কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লেও ভাল খবর শুনিয়েছে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর)। শীর্ষস্থানীয় এপিডেমোলজিস্ট ড. সমীরণ পাণ্ডা বলেছেন, ১ মার্চ থেকে করোনার দাপাদাপি কমবে। মানুষজন যদি কোভিড বিধি মেনে চলেন, মাস্ক আর সোশ্যাল ডিস্টেন্সিং মানেন, তাহলে মার্চ মাস থেকেই সংক্রমণের তেজ কমবে। ধীরে ধীরে এন্ডেমিক পর্যায়ে চলে যাবে দেশ।
ওমিক্রনের পাশাপাশি এখন করোনার নতুন প্রজাতি বিএ.২ ‘স্টেলথ ওমিক্রন’ ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্বে। এই সংক্রামক প্রজাতি নিয়েও উদ্বেগ চরমে। তবে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন,
কোভিডের নয়া প্রজাতি এলেও মিউটেশনের গতি একসময় কমে যাবে। ভাইরাল স্ট্রেনও দুর্বল হতে থাকবে। যদি মানুষের রোগ প্রতিরোধ শক্তি বেড়ে থাকে এবং হার্ড ইমিউনিটি তৈরি হয়, তাহলে নতুন করে কোভিড ওয়েভ আসার সম্ভাবনা নেই। ড. সমীরণের বক্তব্য, ঠিক যেমন করে সার্স ভাইরাসের মহামারী নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছিল তেমনভাবেই সার্স-কভ-২ শক্তিহীন হয়ে পড়বে।
করোনা তখনই হার মানবে যখন মানুষ সচেতন হবে, এমনটাই মত বিশেষজ্ঞের। তাঁর পরামর্শ, সংক্রমণের গতি কমবে এবং ভাইরাল স্ট্রেনও দুর্বল হবে, যদি ঠিকঠাক কোভিড বিধি মেনে চলা যায়। তিনটি শর্ত মানলেই করোনার তাণ্ডব কমবে। কী সেই শর্ত– কোনও রকম জমায়েত করা যাবে না, অনাবশ্যক ঘোরাঘুরি বা ভ্রমণ নয় এবং মাস্ক বাধ্যতামূলক। আগামী তিন মাস কঠোরভাবে এই নিয়ম মেনে চললেই করোনা বিদায় নেবে, এমনটাই মত বিশেষজ্ঞের।