
এখনও অনেক অফিসেই বাড়ি বসে কাজ চলছে। কোথাও কোথাও আবার কাজের ক্ষেত্রে মানা হচ্ছে হাইব্রিড পদ্ধতি। অর্থাৎ কখনও বাড়ি থেকে কখনও অফিসে গিয়ে অফলাইনে কাজ চলছে। এই পরিস্থিতিতে এই ওয়ার্ক ফ্রম হোমকে স্বীকৃতি দিতে উদ্যোগী ভারত সরকারও।
কেন্দ্রের তরফে ওয়ার্ক ফ্রম হোমকে নিয়ে পাকাপাকি চিন্তাভাবনা চলছে। কর্মীদের জন্য একটি বিস্তৃত কর্ম কাঠামো তৈরি করার কথা ভাবছে সরকার, যা ওয়ার্ক ফ্রম হোমের সিস্টেমকে নিয়ন্ত্রণ করবে। এতে কর্মী ও কর্তৃপক্ষের সম্পর্কও দৃঢ় হবে বলে মত অনেকের।
কী কাঠামো তৈরি হবে ওয়ার্ক ফ্রম হোম নিয়ে? সূত্রের খবর, কর্মীদের কাজের সময় সরকারের বিবেচনার মধ্যে রাখা হচ্ছে। এছাড়া তাঁদের বাড়ি থেকে কাজ করতে বাড়তি যা খরচ হচ্ছে তাও বিবেচনা করা হবে। ইন্টারনেট ও বিদ্যুতের খরচ এর মধ্যে অন্যতম।
ওয়ার্ক ফ্রম হোমকে নিয়ন্ত্রণের জন্য আলোচনা চলছে সরকারের বিভিন্ন মহলে। এর আগে জানুয়ারি মাসে সরকার থেকে একটি স্ট্যান্ডিং অর্ডার পাশ করে ওয়ার্ক ফ্রম হোমের কায়দাকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। তবে তা কেবল আইটি সেক্টরের জন্য ছিল, বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে এই কোম্পানিগুলি কর্মচারীদের কোভিডের আগেও ওয়ার্ক ফ্রম হোমের অনুমতি দিত। কিন্তু সরকার নতুন যে কর্মকাঠামো প্রণয়ন করতে চলেছে তাতে সমস্ত সেক্টরের কথাই বলা হয়েছে।
পোর্তুগালের মতো কিছু কিছু দেশে ওয়ার্ক ফ্রম হোমের জন্য আলাদা করে আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। আগামী দিনে ভারত সরকারও সেই পথেই হাঁটতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে।