
দ্য ওয়াল ব্যুরো: গত কয়েকদিনে বন্যপ্রাণের প্রতি নৃশংস অত্যাচারের ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে বারবার। সদ্যই বাজি ভর্তি ফল খেয়ে মৃত্যু হয়েছে এক গর্ভবতী হস্তিনীর। তারপরেই জানা গিয়েছিল হিমাচলপ্রদেশে একটি গরুর মুখেও আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে। অনুমান, বাজি জাতীয় কিছু ফেটেই চোট পেয়েছে ওই গরুটি।
এইসবের মধ্যেই জানা গেল অসমে নৃশংস ভাবে মেরে ফেলা হয়েছে একটি চিতাবাঘকে। গুয়াহাটির ফতাসিল রিজার্ভ ফরেস্টের কাছে একটি চিতাবাঘকে ফাঁদ পেতে ধরেছিল গ্রামবাসীরা। তারপর নৃশংস ভাবে পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়েছে ওই চিতাবাঘটিকে। এখানেই শেষ নয়। মৃত চিতাবাঘের দেহ টুকরো টুকরো করে কাটার অভিযোগ উঠেছে গ্রামবাসীদের বিরুদ্ধে। উপড়ে নেওয়া হয়েছে তার দাঁত। চিতাবাঘটির উপর নৃশংস ভাবে অত্যাচারের নমুনা দেখে শিউরে উঠেছেন বনকর্তারা।
অসমের বনদফতরের রিপোর্ট অনুসারে চলতি বছর এই নিয়ে মোট পাঁচটি চিতাবাঘের মৃত্যু হয়েছে। এর আগে এপ্রিল মাসে গোলাঘাট এবং জোরহাট জেলায় মৃত্যু হয়েছিল চারটি চিতাবাঘের।
গুয়াহাটি ওয়াইল্ডলাইফ ডিভিশনের ডিএফও জিতেন্দ্র কুমার জানিয়েছেন, ফতাসিল রিজার্ভ ফরেস্টের কাছেই ফাঁদে আটকে ছিল আহত চিতাবাঘটি। নজরে আসতেই গুয়াহাটি জু অথিরিটিকে খবর দেন জিতেন্দ্র। কিন্তু ততক্ষণে নিজেকে ফাঁদ মুক্ত করে জঙ্গলে পালিয়ে যায় আহত চিতাবাঘটি। গ্রামবাসীদের যাতে চিতাবাঘটিকে মেরে না ফেলেন সেজন্য সবাইকে অনুরোধ করেন জিতেন্দ্র। তবে শেষরক্ষা হয়নি। গ্রামবাসীদের অভিযোগ ছিল তাঁদের মুরগি-গরু-বাছুরের উপর হামলা করেছে চিতাবাঘটি। ধাওয়া করেছে গ্রামওর কুকুরদের। জিতেন্দ্র জানিয়েছেন, রেসকিউ টিম কেন আসছে না সেই খবর নিতে এলাকা ছেড়ে একটু দূরে যান তিনি। আর তার খানিকক্ষণ পরেই খবর পান গ্রামবাসীরা নৃশংস ভাবে চিতাবাঘটিকে মেরে ফেলেছে। তার চামড়া-দাঁত-নখ সব উপড়ে নেওয়া হয়েছে।
ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে চিতাবাঘের দেহাংশ। এই ঘটনায় ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।