
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বয়স মাত্র ৫ বছর। তবে এর মধ্যেই অন্তত ২ জন মানুষ শিকার করেছে এই বাঘ। সংখ্যাটা আরও বেশি কিনা সে ব্যাপারে সন্দেহ রয়েছে বন-আধিকারিকদেরও। খাঁচায় আটকে রেখে তারপর জঙ্গলে পাঠানো হয়েছিল বাঘটিকে। তবে জঙ্গল এই বাঘের বিশেষ পছন্দের জায়গা নয় বোধহয়। কারণ ছাড়া পেয়েই নজর এড়িয়ে ফের মানুষের বসটিতেই হানা দিয়েছিল এই বাঘটি।
এত কম বয়সেই মানুষ শিকারের এমন প্রবণতা দেখে চিন্তায় বনকর্মীরাও। তাই এই ‘অবাধ্য’ বাঘের নিদান দিয়েছেন তাঁরা। আপাতত কানহা টাইগার রিজার্ভ থেকে ভোপালের বন বিহার ন্যাশনাল পার্কে পাঠানো হয়েছে বাঘটিকে। হয়তো বাকি জীবন তাকে কাটাতে হবে একটি খাঁচাতেই। বন বিহার ন্যাশনাল পার্কের ডিরেক্টর কমলিকা মহন্ত জানিয়েছেন সেন্ট্রাল জু অথরিটি এ ব্যাপারে সে দিলেই তবে বাঘটিকে বাকি জীবন খাঁচায় রাখা সম্ভব হবে।
জানা গিয়েছে এই বাঘটির নাম শরণ। কানহা টাইগার রিজার্ভ ফরেস্টের ডিরেক্টর এল কৃষ্ণমূর্তি জানিয়েছেন, আদতে এই বাঘ মহারাষ্ট্রের চন্দ্রপুর এলাকার। ২০১৮ সালের ১১ ডিসেম্বর মধ্যপ্রদেশের বেতুল জেলার সার্নি এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয় শরণকে। বনকর্মীদের অনুমান চন্দ্রপুর থেকে বেতুল যাওয়ার পথে ২-৩ জনকে শিকার করেছে এই বাঘটি। এরপরেই বাঘটিকে ধরার নির্দেশ দেয় মহারাষ্ট্র সরকার। সার্নি-র একটি তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় শরণকে।
২০১৯ সালে শরণকে কানহা টাইগার রিজার্ভে বেশ কিছুদিন রাখার পর জঙ্গলে পাঠানো হয়। কিন্তু ফের মানুষের বসতিতেই খোঁজ মেলে তাঁর।
পরিস্থিতি দেখে এবং শরণের বারবার মানুষের প্রতি আকর্ষণ দেখে নিরাপত্তার খাতিরেই বাঘটিকে আপাতত ভোপালে বন বিহার ন্যাশনাল পার্কে পাঠানো হয়েছে। সেখানেই খাঁচায় কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে শরণকে। বাঘটি ভাল রয়েছে বলেই জানিয়েছেন পশু চিকিৎসক।