
সিবিআই-এর এই এফআইআর-এ রিয়া এবং বাকিদের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনা, ষড়যন্ত্র, চুরি, প্রতারণা ও আরও একাধিক ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। সিবিআই জানিয়েছে, তদন্তের স্বার্থে তারা বিহার পুলিশের সঙ্গে নিয়মিত ভাবে যোগাযোগ রাখছে।
গত ১৪ জুন বান্দ্রার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছিল সুশান্তের ঝুলন্ত দেহ। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে বলা হয় আত্মহত্যা করেছেন অভিনেতা। গলায় ফাঁস লাগার ফলে দমবন্ধ হয়ে মৃত্যু হয় অভিনেতার। তবে সুশান্তের এমন মর্মান্তিক পরিণতি মানতে পারেননি কেউই। তখন থেকেই অভিনেতার মৃত্যুর সিবিআই তদন্তের দাবি উঠেছিল বিভিন্ন মহলে। আমজনতা থেকে সুশান্তের ফ্যান, এমনকি রাজনৈতিক নেতারাও সুশান্তের মৃত্যুর সিবিআই তদন্তের দাবিতে সরব হয়েছিলেন। সুশান্তের মৃত্যুর পর যাঁকে নিয়ে সবচেয়ে বেশি আলোচনা হয়েছে সেই রিয়া চক্রবর্তীও সুশান্তের মৃত্যুর সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছিলেন।
যদিও প্রাথমিক ভাবে সুশান্তের মৃত্যুর সিবিআই তদন্তের দাবি খারিজ করে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। প্রধান বিচারপতি এস এস বোবদে বলেন পুলিশকে তাদের কাজ করতো দেওয়া হোক। একই কথা বলে মুম্বই এবং বিহার পুলিশ। সুই রাজ্যের পুলিশের তরফেই বলা হয় যে তারা এই তদন্তের কিনারা করতে সক্ষম।
ইতিমধ্যেই পাটনায় রাজেন্দ্র নগর থানায় রিয়া, তাঁর ভাই শৌভিক-সহ মোট পাঁচজনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেন সুশান্তের বাবা কৃষ্ণ কুমার সিং। এ ছাড়াও তিনি বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের দ্বারস্থ হয়ে সিবিআই তদন্তের দাবি জানান। এরপর অভিনেতার বাবার আবেদন মেনে নেয় বিহার সরকার। নীতীশ কুমারের সিদ্ধান্তে সমর্থন জানান বিহারের রাজ্যপাল ফাগু চৌধুরী।
এরপর কেন্দ্রের কাছে সুশান্তের মৃত্যুর সিবিআই তদন্তের দাবি জানায় বিহার সরকার। গত ৫ অগস্ট সেই দাবি মেনে নেয় কেন্দ্র। সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা সুপ্রিম কোর্টে জানান যে কেন্দ্র বিহার সরকারের দাবি মেনে নিয়েছে। এরপর গতকাল সুশান্তের মৃত্যুর তদন্তভার সিবিআইয়ের হয়ে স্থানান্তর করা হয়।