

ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির দাপটে সব রাজ্যেই ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। অনুমান, অন্তত ৬ হাজার কোটি টাকার ফসল নষ্ট হয়েছে শুধু তেলেঙ্গানাতেই। বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তেলেঙ্গানা, অন্ধ্রপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র এবং কর্নাটকে। একে অতি ভারী বৃষ্টি, সেই সঙ্গে বাধ্য হয়ে বিভিন্ন বাঁধ থেকে জল ছাড়া হয়েছে, ফলে জলস্তর বেড়েছে নদীগুলিতে। প্লাবিত হয়েছে নিচু এলাকা। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বাসিন্দাদের। চালু হয়েছে ত্রাণ শিবির।
মহারাষ্ট্রে মূলত পশ্চিম ভাগ এবং মারাঠাওড়ায় বৃষ্টির প্রভাব সবচেয়ে বেশি। পুনে, সোলাপুর, সাংলি, সাতারা এবং কোলাপুর—–পশ্চিম মহারাষ্ট্রের এই জেলাগুলিতে গত ২ দিনে ব্যাপক বৃষ্টি হয়েছে। ২০ হাজার মানুষকে জলবন্দি অবস্থা থেকে উদ্ধার করে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে গিয়েছেন উদ্ধারকারী কর্মীরা। মুম্বইতেও বর্ষণের জেরে জলমগ্ন হয়েছে অসংখ্য রাস্তাঘাট। ভারতীয় সেনাবাহিনী, বায়ুসেনা, নৌসেনা এবং মহারাষ্ট্রের সরকারি আধিকারিকদের যে কোনও পরিস্থিতির সঙ্গে পাল্লা দেওয়ার জন্য তৈরি থাকার আবেদন জানিয়েছেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে।
গত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা হায়দরাবাদের। প্রায় সর্বত্রই জলমগ্ন রয়েছে রাস্তাঘাট। গত বুধবার জলের তোড়ে গাড়ির সঙ্গে মানুষকেও ভেসে যেতে দেখা গিয়েছে। অধিকাংশ পার্কিং লটে কার্যত হলে ডুবে গিয়ে গাড়ি। এখনও পর্যন্ত ৪৪ হাজার মানুষকে উদ্ধার করে ৬৪টি ত্রাণ শিবিরে রাখা হয়েছে। তাঁদের হাতে খাবারের প্যাকেট তুলে দেওয়া হয়েছে। জোরকদমে উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে গ্রেটার হায়দরাবাদ মিউনিসিপাল কর্পোরেশন এবং এনডিআরএফ।
আইএমডি জানিয়েছে, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপ এখন দক্ষিণ-মধ্য মহারাষ্ট্র এবং দক্ষিণ কোঙ্কন উপকূলে অবস্থা করছে। এটি ক্রমশ আরবসাগরের দিকে অগ্রসর হয়ে শক্তি বাড়িয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে। সঙ্গে রয়েছে শক্তিশালী ঘূর্ণাবর্ত। যার প্রভাবে আগামী ৪৮ ঘণ্টা ভারী বৃষ্টি হবে মহারাষ্ট্রের ঘাট এলাকা, কোঙ্কন উপকূল এবং দক্ষিণ গুজরাতে।