
তীর্থে যাওয়ার ইচ্ছে হয়েছিল মায়ের। তাই স্কুটারে চড়িয়েই মাকে নিয়ে ৪৮,১০০ কিলোমিটার পাড়ি দিলেন ছেলে। এমনকি এ জন্য চাকরিও ছাড়তে হয়েছে ওই ব্যক্তিকে।
৭০ বছরের বৃদ্ধা মাকে নিয়ে হাম্পির উদ্দেশে রওনা হয়েছিলেন কর্ণাটকের মাইসুরুর বাসিন্দা ডি কৃষ্ণা। সম্বল ২০ বছরের পুরনো বাজাজ চেতক স্কুটার। লক্ষ্য একটাই, মায়ের ইচ্ছে পূরণ করতে হবে। ডি কৃষ্ণার কথায়, “আজীবন সংসারের কাজেই ব্যস্ত থেকেছেন মা। বাবার মৃত্যুর আগে পর্যন্ত রান্নাঘরই ছিল তাঁর জগৎ। জীবনে প্রথম বার মুখ ফুটে কিছু চেয়েছেন তিনি। সেই সাধ পূরণ করব না তা কী ভাবে হয়।” ৩৯ বছর বয়সে চাকরি ছাড়ার কথা দু’বার ভাবেননি ডি কৃষ্ণা। তাঁর কথায়, “মা কোনওদিন নিজের শহর ছেড়ে বেরোননি। হাম্পি দেখার সাধ হয়েছিল তাঁর। তাই ওঁকে নিয়ে বেরিয়ে পড়েছিলাম।”
A beautiful story. About the love for a mother but also about the love for a country… Thank you for sharing this Manoj. If you can connect him to me, I’d like to personally gift him a Mahindra KUV 100 NXT so he can drive his mother in a car on their next journey https://t.co/Pyud2iMUGY
— anand mahindra (@anandmahindra) October 23, 2019
শোনা যাচ্ছে, প্রায় সাত মাস ধরে মাকে স্কুটারে সওয়ার করে ঘুরেছেন ডি কৃষ্ণা। চলতি বছর জানুয়ারি মাস থেকে শুরু হয়েছে মা-ছেলের জার্নি। ঘুরেছেন একাধিক তীর্থস্থান। নামিদামি হোটেলের বদলে থেকেছেন সাধারণ জায়গায়। স্কুটারে করেই নিয়ে গিয়েছিলেন নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস। সাদামাঠা খরচে ভরপুর মজা করেছেন দু’জনেই। মায়ের ইচ্ছে পূরণ করতে পেরে দারুণ খুশি ডি কৃষ্ণাও। বলছেন, “আমাদের জন্য মা সবসময় অনেক আত্মত্যাগ করেছেন। ছেলে হিসেবে আমার উচিত ছিল মাকে কিছু ভালো সময় উপহার দেওয়া। মায়ের শখ পূরণ করতে পেরে খুব খুশি আমি।”
নেট দুনিয়ায় ভাইরাল হয়েছে মা-ছেলের অভিনব সফরের ভিডিও। ডি কৃষ্ণার মাতৃভক্তি দেখে মুগ্ধ নেটিজেনরা। মা-ছেলের এই জার্নির গল্প জেনেছেন শিল্পপতি আনন্দ মহিন্দ্রাও। তবে মাকে যাতে আর স্কুটারে চাপিয়ে তীর্থক্ষেত্রে নিয়ে যেতে না হয় সে জন্য মুইসুরুর ডি কৃষ্ণাকে একটা গাড়ি উপহার দিতে চেয়েছেন আনন্দ। ভিডিও রিটুইট করে তিনি লিখেছেন, “মায়ের প্রতি ছেলের ভালোবাসার এক দারুণ সুন্দর কাহিনী। দেশের প্রতিও ভালোবাসা লুকিয়ে রয়েছে এই সফরে।”
মনোজ কুমার নামে যে ব্যক্তি ডি কৃষ্ণা এবং তার মায়ের সফরের ভিডিও শেয়ার করেছেন, তাঁকে উদ্দেশ্য করে আনন্দ মহিন্দ্রা বলেন, “আপনি যদি আমাকে ওঁর সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন তাহলে ওঁকে একটা Mahindra KUV 100 NXT গাড়ি উপহার দিতে চাই। যাতে পরের বার মাকে স্কুটারের বদলে গাড়িতে চড়িয়েই তীর্থক্ষেত্রে নিয়ে যেতে পারেন ডি কৃষ্ণা।”
পড়ুন দ্য ওয়াল-এর পুজোসংখ্যার বিশেষ লেখা…
https://www.four.suk.1wp.in/pujomagazine2019/%e0%a6%89%e0%a6%aa%e0%a7%87%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%a6%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a6%a8%e0%a6%be%e0%a6%a5-%e0%a6%93-%e0%a6%a4%e0%a7%8e%e0%a6%95%e0%a6%be%e0%a6%b2%e0%a7%80%e0%a6%a8-%e0%a6%95%e0%a6%be/