Latest News

কুড়ুল দিয়ে কুপিয়ে মহিলাকে খুন, কাটা মুন্ডু নিয়ে থানায় হাজির যুবক

দ্য ওয়াল ব্যুরো: এক মহিলার কাটা মুন্ডু নিয়ে আচমকাই থানায় হাজির হয়েছিল এক যুবক। তার দাবি, এই মহিলাকে গলা কেটে খুন করেছে সে। ওড়িশার ছাতার গ্রামে ঘটেছে এমন কাণ্ড। ঘটনার আকস্মিকতায় হতবাক পুলিশকর্মীরাও। জানা গিয়েছে, ওই গ্রাম দানাগড়ি থানার আওতায় পড়ে। বুধবার রাতে সেখানেই এক মহিলার কাটা মুন্ডু নিয়ে হাজির হয় গ্রামেরই এক যুবক।

পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত মহিলার নাম নন্দিনী পূর্তি। জানা গিয়েছে, কুসংস্কারাচ্ছন্ন ছিলেন তিনি। ছাতার গ্রামের বাসিন্দা এই প্রৌঢ়া তাঁর বাড়িতে ব্ল্যাক ম্যাজিক বা কালাজাদু এবং অন্যান্য আরও অনেক অসামাজিক কাজ করতেন। গ্রামেরই যুবক কার্তিক কেরাইয়ের এক তুতো ভাই বেশ কয়েকদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন। তবে ভাইকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়ার বদলে নন্দিনীর কাছে নিয়ে যায় তাঁর দাদা।

গ্রামবাসীরা পুলিশকে জানিয়েছে নন্দিনী ওই যুবককে আশ্বাস দেয় যে তার ভাই ভাল হয়ে যাবে। তবে সুস্থ হওয়ার বদলে মারা যায় যুবকের ভাই। আর এই কারণেই প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য নন্দিনীকে খুন করেছে ওই যুবক। পুলিশ জানিয়েছে মহিলার দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। শুরু হয়েছে তদন্ত। জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে গ্রামবাসীদেরও। জেরায় পুলিশকে কার্তিক নিজেই জানিয়েছে যে নন্দিনীকে সেই খুন করেছে। কুড়ুল দিয়ে গলা কেটে নন্দিনীকে খুন করেছে কার্তিক। খুনে ব্যবহৃত অস্ত্রটিও উদ্ধার করেছে পুলিশ।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, নন্দিনীর বাড়ি থেকে ঘুরে আসার পর ক্রমশ আরও অসুস্থ হয়ে পড়ে কার্তিকের ভাই। অবস্থার অবনতি হলে কটকের এসসিবি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় যুবককে। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। হাসপাতালে চিকিৎসা চলাকালীন মারা যায় ওই যুবক। গ্রামবাসীদের অনেকেই পুলিশকে জানিয়েছেন, নন্দিনীকে গ্রামে সবাই ‘ডাইনি চিকিৎসক’ বলেই জানত। ভাইয়ের মৃত্যুর পর কার্তিকের ধারণা হয় নন্দিনী তাকে মিথ্যে আশ্বাস দিয়েছিল এবং ভাইয়ের অসুস্থতার ব্যাপারে সঠিক তথ্য দেয়নি। তাই বদলা নিতে মহিলাকে খুন করে কার্তিক। তবে ভাই অসুস্থ জেনেও প্রথমে কেন কার্তিক তাকে ডাক্তারের কাছে বা হাসপাতালে নিয়ে যায়নি সেই ব্যাপারেও জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে মহিলার দেহ।

You might also like