
জোয়ালা গুট্টা টুইট করে জানান, দু’-তিন সপ্তাহ আগে অনলাইনে দেখেছিলাম, ভোটার তালিকায় আমার ও মায়ের নাম আছে। কিন্তু আমার বাবা ও বোনের নাম নেই। আজ ভোট দিতে গিয়ে দেখি, আমার নামও ভোটার তালিকায় নেই। জানি না, কীভাবে আমার নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ গেল। আমি ১২ বছর ধরে হায়দরাবাদে থাকি।
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল জোয়ালা গুট্টার টুইটের সঙ্গে একটি মন্তব্য জুড়ে রিটুইট করেছেন। তাঁর মন্তব্য, দিল্লিতে একইভাবে ৩০ লক্ষ ভোটারের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। মনে হয়, নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে যোগসাজশ করে বিজেপি সারা দেশেই এমন করেছে।
সঞ্জীব নামে একজনের অভিযোগ, আমার ঠাকুমা ২০১১ সালে মারা গিয়েছেন। কিন্তু তাঁর নাম ভোটার তালিকায় আছে। তরুণ ভরদ্বাজ নামে একজন বলেছেন, আমি গতবারে ভোট দিয়েছিলাম। এবার ভোট দেওয়ার জন্য অনেক দূর থেকে তেলেঙ্গানায় এসেছি। কীভাবে আমার নাম বাদ পড়ল বুঝতে পারছি না। হর্ষ নামে এক ব্যক্তি টুইট করেছেন, জোয়ালা গুট্টা নাম বাদ পড়ার ইস্যুটি তুলে ভালো করেছেন। আমার বাবা-মা ৩৬ বছর ধরে একই জায়গায় থাকেন। কিন্তু তাঁদের নাম বাদ পড়েছে।
তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও নির্ধারিত সময়ের আগেই বিধানসভা ভেঙে দেন। নির্বাচন কমিশন তারপর দীর্ঘ সময় ধরে ভোটার তালিকা সংশোধন করে। ভোটারদের কাছে আবেদন করা হয়, কোনও অনিয়ম দেখলে সঙ্গে সঙ্গে জানান। কিন্তু ভোটের দিন অনেকেই অভিযোগ করেছেন, দীর্ঘদিন ধরে ওই রাজ্যের বাসিন্দা হওয়া সত্ত্বেও তাঁদের নাম বাদ পড়েছে।
এদিন রাজস্থান ও তেলেঙ্গানায় বিধানসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হয়।