
অমিত শাহ মনোনয়ন দেওয়ার সময় উপস্থিত থাকবেন দুই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজনাথ সিং ও নীতিন গড়করি। এনডিএ-র তরফে থাকবেন বিজেপির সবচেয়ে পুরানো মিত্র শিবসেনার নেতা উদ্ধব ঠাকরে, পাঞ্জাবের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী প্রকাশ সিং বাদল এবং লোক জনশক্তি পার্টির নেতা রামবিলাস পাসোয়ান। তবে যাঁর ছেড়ে যাওয়া আসনে অমিত প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে যাচ্ছেন, সেই আডবাণী উপস্থিত থাকবেন না।
রাজনাথ সিং বলেছেন, আডবাণীরই রাজনৈতিক উত্তরসূরী হলেন অমিত শাহ। আডবাণী বহুদিন এই কেন্দ্রের ভোটদাতাদের প্রতিনিধিত্ব করেছেন।
গত বৃহস্পতিবার বিজেপির প্রথম দফার প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী জে পি নাড্ডা। সেই তালিকায় আডবাণীর নাম নেই দেখে কটাক্ষ করে কংগ্রেস। তাদের বক্তব্য, বিজেপি প্রবীণ নেতাদের কোণঠাসা করতে চায়। লালাকৃষ্ণ আডবাণীকে প্রথমে মার্গদর্শক মণ্ডলীতে ঠেলে দেওয়া হল। পরে তাঁর নিজের লোকসভা কেন্দ্রটিও কেড়ে নেওয়া হল। বিজেপির বক্তব্য, দল আগেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, ৭৫ বছরের বেশি বয়সী কাউকে প্রার্থী করা হবে না। আডবাণীর বয়স এখন ৯১।
পর্যবেক্ষকদের মতে, অমিতের মনোনয়ন দেওয়ার সময় এতজন নেতাকে হাজির করিয়ে বিজেপি একটি বার্তা দিতে চায়, তা হল দলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর পরে অমিতই পার্টির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নেতা।
মনোনয়ন জমা দেওয়ার আগে অমিত আমেদাবাদে বিরাট রোড শো করবেন। তারপরে হবে জনসভা। আমেদাবাদের নারাণপুরা অঞ্চলে সর্দার পটেলের মূর্তির সামনে থেকে শুরু হবে রোড শো। ঘাটলোডিয়ার পাতিদার চৌকে শেষ হবে।
বিজেপির গুজরাত শাখার প্রধান জিতু ভাগানি বলেন, গান্ধীনগরের রাস্তার দু’পাশে মানব বন্ধন করে বিজেপি কর্মীরা অমিত শাহকে সম্মান জানাবেন। রোড শো-য় অমিতের সঙ্গে উপস্থিত থাকবেন দুই এনডিএ নেতা বাদল ও ঠাকরে। পাতিদার চৌক থেকে অমিত গাড়িতে চড়ে রওনা হবেন গান্ধীনগরের উদ্দেশে। সেখানে মনোনয়ন জমা দেবেন।
এর আগে গান্ধীনগর আসনে ছয়বার জিতেছেন আডবাণী। ১৯৯১ সালে প্রথমবার কংগ্রেসের জি আই পটেলকে হারিয়ে তিনি জয়লাভ করেন। জয়ের মার্জিন ছিল ১ লক্ষ ২৫ হাজার। ২০১৪ সালে আডবাণী ওই কেন্দ্রে জিতেছিলেন চার লক্ষেরও বেশি ভোটে। গুজরাতে ২৬ টি লোকসভা আসনে ভোট হবে ২৩ এপ্রিল। মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন ৪ এপ্রিল।