
পুলিশ জানিয়েছে, লখনউ থেকে পিলভিটের দিকে আসছিল ওই বাসটি। আর পুরাইপুরা থেকে পিলভিটের দিকে আসছিল ওই গাড়িটি। পুরানপুরা এলাকার সীমানায় এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। গাড়ির সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষের জেরে উল্টে যায় বাসটি। গুরুতর জখম হয়েছেন বাসের অনেক যাত্রী। রাস্তার মধ্যে আচমকা উল্টে যাওয়ায় দুমড়ে মুচড়ে ভেঙে গিয়েছে বাসের অনেক অংশ। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়েছে ৭ জনের। আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। যাদের চোট গুরুতর তাদের জেলা হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। গুরুতর ভাবে আহত হয়েছেন ওই গাড়ির যাত্রীদেরও অনেকেই।
শনিবার ভোররাতে ৩টে থেকে ৪টের মধ্যে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে জাতীয় সড়কের উপর। এই জাতীয় সড়ক উত্তরপ্রদেশের পিলভিট জেলার সঙ্গে কুশিনগর জেলার তামাকুহি রাজ এলাকাকে যুক্ত করে। জানা গিয়েছে, ওই বাসে কমপক্ষে ৪০ জন যাত্রী ছিলেন। আর যে গাড়ির সঙ্গে বাসের সংঘর্ষ হয়েছে সেখানে ছিলেন জনা দশেক যাত্রী। বাস এবং গাড়ি দু’ক্ষেত্রেই আহত এবং নিহত হয়েছেন অনেকে। আহতদের অনেকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। যাদের চোট ততটা মারাত্মক বা গুরুতর নয় তাদের স্থানীয় হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পরই ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বাকিরা অর্থাৎ যারা গুরুতর ভাবে জখম হয়েছে তারা জেলা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। সেখানেই চলছে তাদের চিকিৎসা।
কীভাবে এই দুর্ঘটনা ঘটল তার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। প্রত্যক্ষদর্শীদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে তারা। স্থানীয়রাই প্রথম পুলিশে দুর্ঘটনার খবর জানায়। এরপরেই ঘটনাস্থলে যায় বিশাল পুলিশবাহিনী। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করে তারা। নিহতদের নাম-পরিচয় জেনে তাদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, নিয়ন্ত্রণ হারানোর ফলেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। সম্ভবত নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছিলেন বাসের চালক। তারপরই সটান ওই গাড়ির মুখোমুখি গিয়ে ধাক্কা মারে বাসটি। স্থানীয়দেরকেও তদন্তের প্রয়োজনে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।