
দ্য ওয়াল ব্যুরো: সাদা বরফের চাদরে পুরোপুরি ঢেকে গেল হিমাচল। মঙ্গলবার থেকেই একটানা তুষারপাত শুরু হয়ে গিয়েছে এই রাজ্যে। তবে অতিরিক্ত বরফে বেশ বিপর্যস্ত কিন্নর উপত্যকার জনজীবন। বরফে মুখ ঢেকেছে বাড়ি, গাছ, রাস্তা, গাড়ি। তাপমাত্রা হিমাঙ্কের নীচে নামছে হু হু করে। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে সমস্ত স্কুল-কলেজও।
এই পরিস্থিতিতে কিন্নর, সিমলা, কুলু, মানালি, চাম্বা, লাহুল-স্পিতি ও কাংরা– হিমাচলের মোট এই আটটি জেলায় ভারী বর্ষণ ও তুষারপাতের সম্ভাবনা থাকার কারণে জারি করা হয়েছে হলুদ সতর্কতা (ইয়েলো অ্যালার্ট)। তবে বিপর্যয়ের মাঝেও বরফে মোড়া এই হিমাচলের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য যে অনন্য হয়ে উঠেছে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আগামী দু’দিনও ভারী তুষারপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে তাপমাত্রা আরও কমার সম্ভাবনা রয়েছে। ইতিমধ্যেই কল্পা জেলার তাপমাত্রার পারদ নেমেছে মাইনাস ২ ডিগ্রিতে। কেলং পৌঁছেছে মাইনাস ৬ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রায়। সিমলা ও মানালি এখনও চার ও তিন ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডে রয়েছে। আর দু-এক দিনের মধ্যেই হিমাচলের কোনও কোনও জায়গায় তাপমাত্রা মাইনাস আট ডিগ্রিতে পৌঁছতে পারে বলে আশঙ্কা আবহাওয়া দফতরের।
হিমাচল ছাড়াও ভারী বৃষ্টিপাতের সঙ্গে তীব্র তুষারপাত শুরু হয়েছে উত্তরাখণ্ড ও জম্মু-কাশ্মীরেও। জম্মু-কাশ্মীরে সঙ্গত করেছে পশ্চিমি ঝঞ্ঝাও। ফলে বরফের পুরু চাদরে ঢাকার পাশাপাশি তীব্র হাওয়া চলছে উপত্যকা জুড়ে। সমস্যায় পড়েছেন বৈষ্ণোদেবী মন্দিরের পুণ্যার্থীরা। আবহাওয়ার আচমকা এতটা অবনতিতে বন্ধ হয়ে গিয়েছে রাস্তা। ভারতীয় সেনার তরফে কাটরা শহরে বেসক্যাম্প করে নামিয়ে আনা হচ্ছে আটকে পড়া পর্যটকদের।
Himachal Pradesh: Reckong Peo in Kinnaur district receives snowfall. pic.twitter.com/FEwPfM9uL2
— ANI (@ANI) November 27, 2019