
রাজধানীতে স্কুল খোলার পরে এক বেসরকারি টিভি চ্যানেলের সাংবাদিক একটি সরকারি স্কুলে গিয়েছিলেন। এক ছাত্রীকে তিনি জিজ্ঞাসা করেন, ফের স্কুলে এসে কেমন লাগছে? ছাত্রীটি উত্তর দেওয়ার আগেই তিনি দেখেন, তার চোখে জল। সাংবাদিক জিজ্ঞাসা করেন, তুমি কাঁদছ কেন? স্নেহা তখন বলে, “আমার ফোনে কিছু সমস্যা ছিল। আমি অনলাইনে ক্লাস করছিলাম বটে, কিন্তু আমার খুব সমস্যা হচ্ছিল। আমি পড়া বুঝতে পারছিলাম না। এখন অফলাইন ক্লাস চালু হওয়ায় আমার পড়া বুঝতে সুবিধা হবে।”
পরে স্নেহা জানায়, তার বাবা আংশিক দৃষ্টিহীন। তাঁর পক্ষে স্নেহাকে নতুন ফোন কিনে দেওয়া সম্ভব নয়। ওই ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পরে অনেকে মন্তব্য করেছেন, কোভিড অতিমহামারীতে ছাত্রছাত্রীরাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সবচেয়ে বেশি। পেটিএমের প্রতিষ্ঠাতা বিজয়শংকর শর্মাও ওই ভিডিও শেয়ার করেছেন।
Heartbreaking. School girl from Delhi breaks down after returning to her classroom nearly two years after pandemic began in India. Says her father is blind and she faced difficulties connecting through phone to class daily. Wishing her a bright future! pic.twitter.com/OCF8rVG4hN
— Aditya Raj Kaul (@AdityaRajKaul) February 7, 2022
শাবানা খান নামে এক মহিলা টুইটারে মন্তব্য করেছেন, ‘রিয়েলি হার্টব্রেকিং। অতিমহামারীর সময় ছাত্রছাত্রীরা যে কী যন্ত্রণার মধ্যে কাটিয়েছে, আমরা কল্পনাও করতে পারি না।’ আরতি রানা নামে একজন লিখেছেন, “আমার মেয়ের বয়স সাত। অতিমহামারীর সময় সে তেমন সমস্যায় পড়েনি। কিন্তু স্কুল খুলবে শুনে তারও খুব আনন্দ হয়েছে।” রচনা নামে এক টুইটার ব্যবহারকারী লিখেছেন, “গত দু’বছরে একটা ব্যাপার পরিষ্কার হয়েছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কখনও শিক্ষক ও ছাত্রের মধ্যে সামাজিক ও আবেগগত সম্পর্কের বিকল্প হতে পারে না।”