
দ্য ওয়াল ব্যুরো: দক্ষিণ কাশ্মীরের পুলওয়ামার পর এবার উত্তর কাশ্মীরের কুপওয়ারা। একই দিনে দু’বার এনকাউন্টার উপত্যকায়।
মঙ্গলবার সকাল থেকে সেনা-জঙ্গি সংঘর্ষে উত্তপ্ত কুপওয়ারার লোলাব এলাকা। গোপন সূত্রে নিরাপত্তাবাহিনীর কাছে খবর ছিল ওই এলাকায় লুকিয়ে রয়েছে বেশ কয়েকজন জঙ্গি। সেই সূত্র ধরেই লোলাব এলাকার জঙ্গলের ভিতর তল্লাশি অভিযান শুরু করেন নিরাপত্তারক্ষীরা। জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ, ভারতীয় সেনার ২৮ রাষ্ট্রীয় রাইফেলস এবং সিআরপিএফের যৌথ অভিযান শুরু হয় ওই এলাকায়।
নিরাপত্তাবাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে এলোপাথাড়ি গুলি ছুঁড়তে শুরু করে জঙ্গিরা। পাল্টা জবাব দেন নিরাপত্তারক্ষীরাও। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী এখনও কুপওয়ারায় জারি রয়েছে এনকাউন্টার।
লুকিয়ে থাকা জঙ্গিদের খোঁজে জোরকদমে চলছে তল্লাশি। যেহেতু লোলাব অঞ্চলে জঙ্গল খুবই ঘন তাই অভিযান চালাতে আরও বাহিনী মোতায়েন হয়েছে ওই এলাকায়। জঙ্গলের বাইরে লোকালয়েও কড়া নজরদারি চালাচ্ছে নিরাপত্তাবাহিনী।
অন্যদিকে সোমবার সন্ধেবেলা আচমকা শব্দে কেঁপে ওঠে পুলওয়ামা। পরে জানা যায় সেনাঘাঁটি লক্ষ্য করে গ্রেনেড হামলা চালিয়েছে জঙ্গিরা। এর জবাব দিতে পরপর কয়েক রাউন্ড গুলি চালায় সেনা। উপত্যকায় সেনা ছাউনিকে নিশানা বানিয়ে গ্রেনেড হামলা নতুম ঘটনা নয়। তবে সোমবার সন্ধের পর থেকে সতর্ক হয়ে যায় সেনাবাহিনী। আশেপাশের এলাকায় তল্লাশি অভিযান শুরু করে জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ। জানা যায়, ত্রালের বটাগুন্ড সিআরপিএফ ক্যাম্প লক্ষ্য করে গ্রেনেড হামলা চালিয়েছে জঙ্গিরা। এক সিআরপিএফ কর্তা জানিয়েছেন, শিবিরের সামনেই ফেটে যায় গ্রেনেডটি। অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়েছে। নইলে প্রাণহানি হতে পারত।
সোমবার সকালে পরপর দুটি এনকাউন্টার হয়েছিল অনন্তনাগ এবং কুলগামে। সেনার তরফে জানানো হয়, কুলগামের দুটো আলাদা এনকাউন্টারে খতম হয়েছে চারজন জঙ্গি। উদ্ধার হয়েছে প্রচুর অত্যাধুনিক অস্ত্রশস্ত্র। এছাড়াও গত কয়েকমাসে উপত্যকায় জঙ্গি দমন কার্যকলাপে যথেষ্ট সাফল্য পেয়েছে নিরাপত্তাবাহিনী। কুখ্যাত জঙ্গিদের নিকেষ করার পাশাপাশি পাক সেনারা যুদ্ধ বিরতি চুক্তি লঙ্ঘনের জবাবও কড়া ভাবেই দিয়েছেন নিরাপত্তারক্ষীরা।
অন্যদিকে নিরাপত্তাবাহিনীর কাছে গুয়েন্দা সূত্রে খবর ছিল যে পুলওয়ামার বান্দজু এলাকায় হিজবুল মুজাহিদিনের কিছু জঙ্গি লুকিয়ে আছে। সেই খবর অনুযায়ী, মঙ্গলবার ভোররাতে পুলওয়ামায় অভিযান চালায় নিরাপত্তাবাহিনী। সিআরপিএফ ও জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের স্পেশাল টিমের অভিযানে দুই জঙ্গি খতম হয়েছে বলে খবর। এছাড়াও একজন সিআরপিএফ জওয়ান শহিদ হয়েছেন এই গুলির লড়াইয়ে। সেনা-জঙ্গি সংঘর্ষে গুলি লাগে ওই জওয়ানের। গুরুতর অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই ওই জওয়ানকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।