
ভাইরোলজিস্ট টম পিকক বলছেন, ওমিক্রন ভ্যারিয়ান্টের জিনের গঠন সাজিয়ে দেখা গেছে এর মধ্যেও P681R ও l452R এই দুই রকম মিউটেশন দেখা গেছে। এই দুই মিউটেশন ডেল্টা প্রজাতির মধ্যেই দেখা গিয়েছিল। তার থেকেই সাইপ্রাসের বিজ্ঞানীদের অনুমান, এই দুই ভ্যারিয়ান্ট মিলেমিশে গিয়ে নতুন প্রজাতি তৈরি করেছে।
Lots of reports of Omicron sequences carrying Delta-like mutations (eg P681R or L452R). Although a subset of these might end up being real, the vast majority will most likely turn out to be contamination or coinfection. No clear signals of anything real or nasty happening (yet).
— Tom Peacock (@PeacockFlu) December 21, 2021
কোভিডের যে কটা সংক্রামক প্রজাতি নিয়ে খুব বিজ্ঞানীরা চিন্তা করছেন তার মধ্যে একটি হল ডেল্টা ভ্যারিয়ান্ট বি.১.৬১৭.২। ব্রিটেন স্ট্রেন, দক্ষিণ আফ্রিকার প্রজাতি, ব্রাজিলীয় প্রজাতি ও ভারতের ডবল ভ্যারিয়ান্ট—এই প্রজাতিগুলোই এখন উদ্বেগের কারণ। ডেল্টা ভ্যারিয়ান্ট হল ভারতীয় প্রজাতি তথা ডবল ভ্যারিয়ান্টেরই একটি পরিবর্তিত রূপ। করোনার ডবল ভ্যারিয়ান্ট (বি.১.৬১৭) প্রজাতির একটি উপ-প্রজাতি হল ডেল্টা ভ্যারিয়ান্ট (বি.১.৬১৭.২)।
বল ভ্যারিয়ান্ট তথা বি.১.৬১৭ প্রজাতিও একই ভাবে বদলে গেছে। পর পর তিনবার জিনের গঠন বিন্যাস বদলে তিনটি নতুন উপ প্রজাতি তৈরি করেছে–বি.৬১৭.১, বি.১.৬১৭.২ ও বি.১.৬১৭.৩। এদের মধ্যে বি.১.৬১৭.২ স্ট্রেনের নাম দেওয়া হয়েছে ডেল্টা ভ্যারিয়ান্ট, এটিই সবচেয়ে সংক্রামক বলে দাবি করা হয়েছে।
ডবল ভ্যারিয়ান্ট মানে হল দুবার জিনের বিন্যাস বদলাচ্ছে, দুটি মিউটেশন হচ্ছে যাদের নাম–E484Q এবং L452R। এই বদল মানে হল অ্যামাইনো অ্যাসিড তার একটা অবস্থানে বদলে গিয়ে অন্য অ্যামাইনো অ্যাসিডের কোড বসিয়ে দিচ্ছে। যেমন– E484Q মিউটেশন মানে হল ‘E’ অ্যামাইনো অ্যাসিড তার ৪৮৪ নম্বর অবস্থানে বদলে গিয়ে ‘Q’ কোড নিয়েছে। এইভাবে বদলটা চলতে থাকছে। এই L452R বদলটা ওমিক্রনেও দেখা গেছে বলে দাবি।
যদিও এই নিয়ে মতপার্থক্য আছে। বিজ্ঞানীদের একাংশের দাবি, ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা করতে গিয়ে কিছু ভুল হয়েছে যার ফলে জিনের বিন্যাসে এমন দেখা গেছে। আসলে ডেল্টাক্রন বলে কিছু নেই। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও এই প্রজাতিরকে চিহ্নিত করে নামকরণ করেনি। তাই যতদিন না এই ব্যাপারে প্রামাণ্য তথ্য মেলে ততদিন ডেল্টাক্রন নিয়ে ভয়ের কোনও কারণ নেই।