
ভারত বায়োটেক জানিয়েছে, তৃতীয় পর্বের ট্রায়ালের অনুমতি পেয়েছে তাদের তৈরি ন্যাজাল ভ্যাকসিন। এই পর্বের ট্রায়ালের সেফটি রিপোর্ট জমা করার পরেই ভ্যাকসিনে অনুমোদন দেবে ড্রাগ কন্ট্রোল। টিকার সুরক্ষা ও নিরাপত্তা খতিয়ে দেখবে কেন্দ্রের ভ্যাকসিন বিশেষজ্ঞ কমিটি।
কী ধরনের ভ্যাকসিন বানিয়েছে ভারত বায়োটেক?
ইউনিভার্সিটি অব উইসকনসিন-ম্যাডিসন এবং ফ্লু-জেন ভ্যাকসিন কোম্পানির সঙ্গে হাত মিলিয়ে ন্যাজাল ভ্যাকসিন তৈরি হয়েছে এই রিসার্চ ফার্মে। বিজ্ঞানীরা বলেছেন, এই ভ্যাকসিনের নাম ‘বিবিভি১৫৪’ (BBV154)। এটি হবে ন্যাজাল ড্রপের মতো। শরীরে গিয়ে ভাইরাস প্রতিরোধী অ্যান্টিবডি তৈরি করবে।
ভারত বায়োটেক জানিয়েছে, যেহেতু ফ্লু ভাইরাস বা ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের সঙ্গে মিল রয়েছে সার্স-কভ-২ ভাইরাসের, তাই ফ্লু ভ্যাকসিন ক্যানডিডেটকেই ব্যবহার করা হচ্ছে এই ন্যাজাল ভ্যাকসিন তৈরির কাজে।
ফ্লু-জেন কোম্পানির তৈরি ফ্লু ভ্যাকসিন ক্যানডিডেট M2SR কে ব্যবহার করেই এই ন্যাজাল ভ্যাকসিন তৈরি করছে ভারত বায়োটেক। গবেষকরা বলছেন, রেবিস ভাইরাসকে নিষ্ক্রিয় করেও ভ্যাকসিন ক্যানডিডেট তৈরি করা হয়েছে। রেবিস ভাইরাসকে এক্ষেত্রে ভেক্টর হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। এই ভ্যাকসিনের তৃতীয় পর্বের ট্রায়াল শুরু হবে।
ভারত বায়োটেকের চেয়ারম্যান ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর ডক্টর কৃষ্ণা এল্লা বলেছেন, “আইসিএমআর ও এনআইভি-র সঙ্গে যুক্ত হতে পেরে আমরা গর্বিত। দেশের স্বার্থে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এই ভ্যাকসিন বাজারে আনা হবে।” ভারত বায়োটেকের বিজনেস ডেভেলপমেন্ট হেড র্যাচেস এল্লা বলেছেন, খুব দ্রুত এই ভ্যাকসিন বুস্টার শট হিসেবে দেওয়া হবে। এই ভ্যাকসিন মানুষের শরীরের জন্য একদমই নিরাপদ।