
নাগেরবাজারে ভয়াবহ দুর্ঘটনা! বাইক থেকে ছিটকে সোজা ব্রিজের নীচে পড়লেন মহিলা
দেখা গেছে, রাজ্যের গ্রুপ ডি নিযুক্ত কর্মীদের ৩ হাজার ২০০ জনের মধ্যে অনেকেরই কোনও রেকমেন্ডেশন লেটার নেই। এই লেটার দেখাতে পারেনি স্কুল সার্ভিস কমিশন। প্রথমে ২৫ জন, পরে ৫০০ ও ৭০০ জনের নিয়োগে এমন দুর্নীতির আঁচ পাওয়া গেছে। কীভাবে এঁদের নিয়োগ হল তা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
এই মামলায় মধ্যশিক্ষা পর্ষদ দায় চাপিয়েছে কমিশনের ঘাড়েই। তারা বলেছে রেকমেন্ডেশন দেখেই নিয়োগ করা হয়েছে এতগুলো মানুষকে। এতেই ক্ষুব্ধ হয়েছে আদালত। বিচারপরতির বক্তব্য, এসএসসি সুপারিশের চিঠি দেখাতে পারেনি, আবার মধ্যশিক্ষা পর্ষদ বলছে রেকমেন্ডেশন রয়েছে। এর থেকেই পরিষ্কার এসএসসির গ্রুপ ডি নিয়োগে লাগামছাড়া দুর্নীত হয়েছে। কোনও এক অদৃশ্য হাত কাজ করেছে এখানে। কার সুপারিশে, কার অঙ্গুলি হেলনে নিয়োগ হয়েছে, দু’বছর ধরে এত মানুষ কার কথায় চাকরি করে চলেছে তা খতিয়ে দেখতে বলেছে উচ্চ আদালত। রাজ্যের কোনও সংস্থাকে দিয়ে এই মামলার তদন্ত করাতে ভরসা পাচ্ছে না বলেও জানিয়েছেন বিচারপতি। এরপরই দেওয়া হয়েছে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ।
আগামী ২১ ডিসেম্বরের মধ্যে সিবিআই তদন্তের রিপোর্ট আদালতে জমা করবে। তার তদন্তে সবরকম সহায়তা করবে রাজ্য। কলকাতা হাইকোর্টের ইতিহাসে এই রায় নজিরবিহীন। এর আগে কখনও শিক্ষা সংক্রান্ত বিষয়ে সিবিআই তদন্ত করতে বলেনি আদালত।