
নীতি আয়োগের সদস্য (স্বাস্থ্য) ড. ভি কে পল বলেছেন, বুস্টার ডোজ নেওয়ার নিয়ম আছে। যে কোনও ভ্যাকসিনের বুস্টার নেওয়া যায় না। প্রথম দুটি ডোজ যে ভ্যাকসিনের নেওয়া হয়েছে, তৃতীয় ডোজ সেই ভ্যাকসিনেরই নিতে হবে। যদি কেউ কোভিশিল্ড টিকার দুটি ডোজ নিয়ে থাকেন, তাহলে থার্ড ডোজ কোভিশিল্ডেরই নিতে হবে। আবার যদি ফার্স্ট ও সেকেন্ড ডোজ ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিনের হয়, তাহলে বুস্টার ডোজে কোভ্যাক্সিনই নিতে হবে।
বড়দিনে জাতির উদ্দেশে ভাষণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ভ্যাকসিনের প্রিকশনারি ডোজ নেওয়ার কথা বলেছিলেন। প্রিকশনারি ডোজ মানে হলে ভ্যাকসিনের তৃতীয় ডোজ অর্থাৎ বুস্টার ডোজ। সেকেন্ড ডোজ নেওয়ার ৯ মাস পরে এই তৃতীয় ডোজ নেওয়া যাবে। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের গাইডলাইনে বলা হয়েছে, সেকেন্ড ডোজ নেওয়ার দিন থেকে ৩৯ সপ্তাহ পরে বুস্টার বা প্রিকশনারি ডোজ নেওয়া যাবে।
করোনার নতুন প্রজাতিদের সংক্রমণ সাঙ্ঘাতিকভাবে বাড়ছে। এমনও দেখা গেছে, ভ্যাকসিনের দুটি ডোজ নেওয়ার পরেও শরীরে ভাইরাল লোড বেশি। অর্থাৎ সংক্রমণ বেশি। বিশেষজ্ঞরা তাই তৃতীয় ডোজ নেওয়ার কথা বলেছিলেন। তাঁদের যুক্তি ছিল, দুটি ডোজের পরে যে পরিমাণ অ্যান্টিবডি তৈরি হবে শরীরে তৃতীয় ডোজ নিলে তার পরিমাণ আরও বাড়বে। যেহেতু শরীরে অ্যান্টিবডি খুব বেশি দিন স্থায়ী হচ্ছে না, তাই সেকেন্ড ডোজ নেওয়ার ৯ মাস পরে আরও একটি ডোজ নিলে নতুন করে অ্যান্টিবডি তৈরি হবে। শরীরের ইমিউন কোষগুলি ফের সক্রিয় হবে এবং রোগ প্রতিরোধ গড়ে তুলবে।
প্রিকশনারি ডোজ সকলের জন্য নয়। ন্যাশনাল হেলথ অথরিটির সিইও ডা. আরএস শর্মা বলেছিলেন, প্রথম সারির কোভিড যোদ্ধা ও প্রবীণদের জন্যই এই প্রিকশনারি ডোজ। করোনা রোগীদের সংস্পর্শে থাকতে হয় যাঁদের বা পেশাগত কারণে জনবহুল জায়গায় থাকতে হয়, প্রবীণ যাঁদের কোমর্বিডিটি আছে ও হাই-রিস্ক গ্রুপে আছেন, শুরুতে তাঁরাই পাবেন এই ডোজ। পরে ভ্যাকসিনের জোগান বাড়লে সকলের কথা ভাবা যাবে।