
দ্য ওয়াল ব্যুরো: সন্ন্যাসিনী ধর্ষণ মামলায় (nun rape case) সম্পূর্ণ রেহাই পেলেন (acquital) কেরলের (kerala) (bishop) বিশপ ফ্র্যাঙ্কো মুলাক্কাল। তথ্যপ্রমাণের (lack of evidence) অভাবেই তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হল বলে জানিয়েছে কেরলের কোট্টায়মের আদালত (court)। ২০১৪ থেকে ২০১৬র মধ্যে একাধিকবার এক সন্ন্যাসিনীকে ধর্ষণে অভিযুক্ত ছিলেন তিনি। দেশের প্রথম ক্যাথলিক বিশপ তিনি যাঁকে এমন মারাত্মক অভিযোগে গ্রেফতার হয়ে জেলে ঢুকতে হয়েছিল। ১০০ দিনের ওপর বিচার পর্ব চলার পর তাঁকে যাবতীয় অভিযোগ থেকে বেকসুর খালাস করে দিল আদালত।
২০১৮ সালে জলন্ধর ডায়োসেসের অধীন ওই সন্ন্যাসিনী দলের সাধিকা বিশপ ফ্র্যাঙ্কোর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ তোলেন। জলন্ধর ডায়োসেসের বিশপ থাকাকালে বেশ কয়েকবার কনভেন্টে গিয়েছিলেন ফ্র্যাঙ্কো। সেই সফরেই একাধিকবার সন্ন্যাসিনীর ওপর তিনি যৌন নিগ্রহ চালান বলে অভিযোগ ওঠে। সূত্রের দাবি, ১৩ বার নাকি ধর্ষণ করেন তিনি। তদন্তে গঠিত বিশেষ টিম বা সিট যাবতীয় অভিযোগের তদন্ত করে ২০১৮র সেপ্টেম্বর বিশপকে গ্রেফতার করে তাঁকে জোর করে আটকে রাখা, ধর্ষণ, অস্বাভাবিক যৌনতা, ফৌজদারি ভীতিপ্রদর্শনের দায়ে অভিযুক্ত করে। ২০২৯ এর নভেম্বর বিচারপ্রক্রিয়া শুরু হয়। শুরুতেই আদালত প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়াকে নির্দেশ দিয়েছিল, তাদের অনুমতি না নিয়ে মামলার তদন্ত, বিচার প্রক্রিয়া সম্পর্কে কোনও তথ্য প্রকাশ করা যাবে না।
শোনা গিয়েছিল, প্রভাবশালী বলে পরিচিত বিশপের বিরুদ্ধে এমন মারাত্মক অভিযোগ তোলার চরম মূল্য দিতে হয় সন্ন্যাসিনীকে। মাত্র ১৫ বছর বয়সে সন্ন্যাসিনীর জীবন বেছে নেওয়া মহিলা প্রৌঢ় বয়সে এসে টের পান, কী পরিণতি হতে চলেছে। গোটা চার্চ কর্তৃপক্ষ নাকি কার্যতঃ তাঁকে একঘরে, কোণঠাসা করে দেয়। ক্ষমতাবান যাজকের সমর্থককূলও নানা ভাবে তাঁর উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলে তাঁর ওপর চাপ সৃষ্টি করে বলে অভিযোগ। এবার আদালত বিশপকে অভিযোগমুক্ত করে দেওয়ার পর সন্ন্যাসিনী কী পদক্ষেপ করেন, সেটাই দেখার।